• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তানকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিল বাংলাদেশ


রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ মে ২২, ২০১৯, ০৮:৩৭ পিএম
ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তানকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিল বাংলাদেশ

ফাইল ছবি

ঢাকা: ইংল্যান্ডে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ছিল বাংলাদেশের জন্য ইতিহাস গড়ার আসর। সে বারই প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এদেশের ক্রিকেটারদের কাছে তখন বিশ্বকাপে খেলাটাই ছিল বিশেষ কিছু। তারওপর যদি পাকিস্তানের মতো সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারানো যায় তাহলে সেটা তো অন্য মাত্রা পাবেই।

বাংলাদেশের বেলায়ও তাই হয়েছিল। ওই বিশ্বকাপে  দুরন্ত গতিতে ছুটতে থাকা ওয়াসিম আকরামের পাকিস্তানকে ৬২ রানে বধ করে গোটা বাংলাদেশকে আনন্দ স্রোতে ভাসিয়েছিল আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল।

সেবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় অঘটন ছিল বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের হার। যদিও গ্রুপ পর্বের আগের চার ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া,  নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো বড় দলগুলো। আকাশে উড়তে থাকা সেই দলটিকেই কি-না মাটিতে নামিয়ে আনল বাংলাদেশ। কেউ কেউ অবশ্য এরমধ্যে আবার ষড়যন্ত্রের গন্ধও খুঁজে পান! যদিও শেষ পর্যন্ত সেগুলো ধোপে টেকেনি।

নর্দাম্পটনে সেদিন আসলে কী ঘটেছিল? বুলবুলের সঙ্গে টসে জিতে ওয়াসিম বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। বিশ্বকাপের নীবনতম দেশটিকে দারুন সূচনা এনে দেন শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ ও মেহেরাব হোসেন অপি। দুজনে মিলে তুলে ফেলেন ৬৯ রান।

অপি ৪২ বলে ৯ রান করলেও অন্যপ্রান্তে ঠিকই ছন্দে ছিলেন বিদ্যুৎ (৬০ বলে ৩৯)। কিন্তু অপির বিদায়ের পর ফিরে যান বিদ্যুৎও। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন আকরাম খান। তার সঙ্গে জুটি বাধেন আরেক নক্ষত্র বুলবুল। দু’জনে মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করলেন ৫০ রান।

বুলবুল ২৬ বলে ১৫ রান করে আউট হলেও নিজের জাত চেনাতে ভুল করেননি আকরাম। খেলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ বলে ৪২ রানের ইনিংস। এরমধ্যে ছয় বার তিনি বলকে সীমানার বাইরে পাঠান।

এছাড়া নাঈমুর রহমান দুর্জয় ১৩, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ১৪, খালেদ মাসুদ পাইলট ১৫ এবং শেষের দিকে খালেদ মাহমুদ সুজন ৩৬ বলে ২৭ করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৩ রানের লড়াই করার পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেই সময়ে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের প্রধান শত্রু সাকলাইন মুশতাক ৩৫ রানে তুলে নেন ৫ উইকেট। বাকিদের মধ্যে ওয়াকার ইউনিস ৩৬ রানে ২টি এবং ওয়াসিম ও শহীদ আফ্রিদি পান ১টি করে উইকেট।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২২৩ রানের চ্যালেঞ্জ ধাওয়া করতে নেমে প্রতাপশালী পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬১ রানে। সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ওয়াসিম আকরাম এবং আজহার মাহমুদ। ব্যাটিংয়ের মতো বোলিংয়েও সাফল্য পান খালেদ মাহমুদ। ৩১ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট তুলে জেতেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। ১টি করে উইকেট নেন শফি উদ্দিন বাবু, নান্নু এবং দুর্জয়।

বাংলাদেশ জয়লাভ করে ৬২ রানে। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বুলবুলদের এই জয় সূদরপ্রসারী প্রভাব ফেলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বাংলাদেশ খুব দ্রুতই ঢুকে যায় ক্রিকেটের কুলিন পরিবারে।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!