• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কচি গম চারার রস বিভিন্ন রোগের মহাওষুধ


স্বাস্থ্য ডেস্ক জুলাই ২২, ২০১৮, ০২:১৩ পিএম
কচি গম চারার রস বিভিন্ন রোগের মহাওষুধ

ঢাকা : শত শত কোটি রোগবীজের বসবাস আপনার শরীরে। আধুনিক জীবনে অসুখের শেষ নেই। সে অসুখ সারাতে হাজারও ওষুধ। সারাদিনে মনে করে নিয়ম মেনে ওষুধ খাওয়ার যেন শেষ নেই!

তবে যদি রোগ প্রতিরোধের উপায় আরও বাড়ানো যায়, তা হলে অসুখ-বিসুখের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আমাদের চারপাশেই রয়েছে এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান যা আপনাকে রাখবে সুস্থ।

যা আপনার জীবনের বেশির ভাগ অসুখের সঙ্গে লড়ে যাওয়ার শক্তি জোগাবে। হুইটগ্রাস বা গমের কচি চারার রস এমনই এক বস্তু। ভরপুর গুণের এ গমের চারার রস বানানো খুব একটা কঠিন নয়।
গমের কচি চারা জোগাড় করুন। চারাগুলো দুই ফালি করে নিন। ভালো করে ধুয়ে জুসারে জুস করে রাখুন, বাড়তি কিছুই মেশাবেন না। এ রস ফ্রিজে জমিয়ে রাখতে পারেন। উপকার পেতে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন এ রস।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক উপাদান থেকে পাওয়া নানা প্রতিরোধকে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। গম চারার রস মানেই সতেজ ক্লোরোফিল। আর এটি সবুজ গাছ ছাড়া অন্য কিছুতেই পাওয়া সম্ভব নয়। নানা খনিজ পদার্থসমৃদ্ধ এ প্রাকৃতিক ঘাসে আছে ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপ্লেক্স ও কে। এছাড়া প্রোটিন ও ১৭ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে এ চারায়। প্রতি ২৮ গ্রাম রসে রয়েছে ১ গ্রাম প্রোটিন। ত্বকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ, আলসার, কানের জ্বালাপোড়া, ত্বকের পুনর্গঠন ইত্যাদির চিকিৎসায় ক্লোরোফিল বেশ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এ রসের ৭০-৭৫ ভাগই হল বিশুদ্ধ ক্লোরোফিল। ক্লোরোফিলে রয়েছে অনেক উপকারী উৎসেচক। এগুলো কোষের সুপার অক্সাইড র‌্যাডিকেলগুলোকে ধ্বংস করতে পারে। ফলে বার্ধক্যজনিত ছাপ শরীরে সহজে বাসা বাঁধতে পারে না। ক্লোরোফিল প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়ালও। শরীরের ভেতরে ও বাইরে তা অপকারী ব্যাক্টেরিয়া নির্মূল করে।

ক্লোরোফিল তৈরি হয় আলোর মাধ্যমে। আলোর ভেতরের শক্তিও এর মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। গমের চারার ক্লোরোফিল সরাসরি মানবদেহে মিশে যায়।

এখন পর্যন্ত এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। শরীরে জমে থাকা নানা ওষুধের ক্ষতিকারক অবশিষ্টাংশও নির্মূল করতে পারে।

গম ঘাসের জুসের উপকারিতাঃ

১। এই  ঘাসে আছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স, সি, ই ও কে। আরো আছে প্রোটিন ও ১৭ ধরনের অ্যামিনো এসিড। পটাশিয়াম, ডায়েটারি ফাইবার, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নায়াসিন, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাংগানিজ।  থাইরয়েডের সমস্যা ঠেকানোর উপাদান সেলেনিয়াম এতে বিদ্যমান।

২। এই ঘাসের জুসে ক্লোরোফিল সর্বোৎকৃষ্ট মানের। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন এই ক্লোরোফিল মানবদেহে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করতে পারে।

৩। গমের ঘাস তৃণভোজী প্রাণী অর্থাৎ আমাদের গৃহপালিত পশুপাখির দেহে পুষ্টি সাধন করে সদা সতেজ রাখে এবং শারীরিক বৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করে।

৪। লিভার পরিশোধন এবং রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

৫। বিভিন্ন এনজাইম গম ঘাসে উপস্থিত থাকার কারণে আমাদের দেহের হজমশক্তি বৃদ্ধি করে।

৬। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল পাকা বন্ধ হয়ে যায়।

৭। ত্বক পরিষ্কারে সহায়ক। এছাড়াও ব্রণের দাগ সারাতে সহায়তা করে।

৮। প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম উপস্থিত থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পায়খানা সহজ করে।

৯। ফুসফুস ও রক্তকে পানি, বায়ু, বিষাক্ত পদার্থ ঘটিত দূষিত পরিবেশ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে প্রতিরোধ করে।

১০। হৃদপিণ্ড আর ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে গম ঘাসের জুস পান করার বিকল্প নেই।

১১। যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের সমস্যা আছে, তারাও এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন। গমের ঘাস রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়।

এছাড়াও আরো অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে যা একদিনে বলে শেষ করার নয়। এটি অনেক শক্তি দিবে আপনাকে উজ্জীবিত থাকার জন্য।
সোনালীনিউজ/আরজে

Wordbridge School
Link copied!