• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কচুরিপানা নিয়ে ভুলভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২০, ০৩:৫৩ পিএম
কচুরিপানা নিয়ে ভুলভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে

ঢাকা: পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান জানিয়েছেন, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলার বিষয়টিকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা শেষে 'গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না' এমন বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এ কথা বলেন।   

এ সময় মন্ত্রী বলেন, গবেষণা হবে সীমাহীন। গবেষণার কোনো সীমা থাকতে পারে? তাহলে গবেষণা হলো কোথায়! এইটা করতে পারবে না, ওইটা বলতে পারবে না। এটা হবে। আমি বলছিলাম, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করেন, এটা খাওয়া যায় কিনা। হোয়াট ইজ দ্যা হার্ম? কচুরিপানা যদি খেতে পারি তাহলে কোনো ক্ষতি আছে?

তিনি আরো বলেন, একজন ভদ্রলোক তো বললেন, গরু-ছাগল তো খায়। এখন গরুর নাম কেন আসলো, এতে যেনো অসম্মান হয়ে গেলো। গরুর দুধ খেতে পারি আবার গরু দেখলে লজ্জা লাগে। যাইহোক এটা কোনো বিষয় না।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার কথা ছিলো, কাঠাল আমাদের জাতীয় ফল। এটাকে আরো সুন্দর করে, ওরা পারে করতে। থাইরা (থাইল্যান্ডবাসী) করেছে না, পেয়ারা থেকে বিচি উড়ায় দিছে। আমরা খাচ্ছি না আরামসে। কত সুন্দর সুন্দর ফল থাইরা করেছে। আমাদের এখানে কি এগুলো সম্ভব না? সেখানে কৃষি বিজ্ঞানীরা ছিলো। এগুলো নিয়ে ভালো কাজও হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমি বলছিলাম যে, আপনারা গবেষণা করেন।

এমএ মান্নান বলেন, আগে বইতে পড়তাম কাঁঠালের আমসত্ত্ব। কাঁঠালের আমসত্ত্ব এখন বাস্তবেই আছে। আমি উইটাই বলেছি আর কিছু নয়। আমি কি বলেছি, বাংলার মানুষ সব কচুরিপানা খান, ননসেন্স। আচ্ছা, আমি কি বাংলার মানুষ নই, আমার মা-বাবা কি বাংলার মানুষ নয়। এটা কী ধরনের কথা হলো। 

তিনি বলেন, কচুরিপানার ফুল তো আমি নিজে খেয়েছি ছোটবেলায়। বেসনে ডুবিয়ে আমার মা ভাজতো। এগুলো খুব মিস করি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!