• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কঠোর নিরাপত্তায় অনুশীলন টাইগারদের


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ২৩, ২০২০, ০৭:৪৪ পিএম
কঠোর নিরাপত্তায় অনুশীলন টাইগারদের

ঢাকা: অনেক নাটকীয়তার পর অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। আর তিন দফায় পাকিস্তান যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টাইগাররা। প্রথম দফায় তিন ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই পাকিস্তান পৌঁছেছে মাহমুদউল্লাহ-তামিমরা। এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যে কঠোর হবে, টিম বাংলাদেশের জন্য যে টিম হোটেল পার্ল কন্টিনেন্টাল থেকে শুরু করে ভেন্যু গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আসা যাওয়া এবং স্টেডিয়ামের বাইরে, চারপাশ ও ভেতরটা যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে- তা বারবার জোর দিয়েই বলেছে পিসিবি।

আর বাস্তবেও তাই। লাহোরে পা রাখার পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিরাপত্তাই পাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। আগেই জানা কঠোরতম নিরাপত্তা আর নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া প্রহরায় সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত প্রায় বারোটার কাছাকাছি সময় লাহোরে পৌঁছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। লাহোরের আল্লামা ইকবাল এয়াররপোর্ট থেকে সরাসরি পাঁচ তারকা হোটেল পার্ল কন্টিনেন্টালে চলে যায় জাতীয় দলের বহর। 

রাত কাটিয়ে দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ সেরে সরাসরি গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে চলে আসে দল এবং সেখানে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘণ্টার নিবিঢ় প্র্যাকটিস করলো টাইগাররা। লাহোর থেকে বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম মুঠোফোনে জানান। 

তিনি বলেন, নিরাপত্তা যে কঠোর হবে, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থাই যে নেয়া হবে, তা আমরা শুনে ও জেনেই এসেছি। সেটাই হচ্ছে। কঠোরতম নিরাপত্তার মধ্যে আজ দুপুর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল চারটা পর্যন্ত প্র্যাকটিস করার পর বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ (বাংলাদেশে তখন বিকেল সাড়ে ৫টা) টিম হোটেলে ফিরে এসেছি।

তিনি আরও জানান, ‘বাংলাদেশ আর পাকিস্তান দুই দল একসাথে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করে এবং গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে পাশাপাশি পিচেই প্র্যাকটিস করে।

এছাড়া বাংলাদেশ থেকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ কাভার করতে যাওয়া বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। 

তারা জানান, বাংলাদেশে যেমন প্রমাণ সাইজের লাক্সারি বাসে করে দলগুলো টিম হোটেল থেকে এক ভেন্যুতে যাতায়াত করে, লাহোরে বাংলাদেশ দল এসেছে বিশেষ ধরনের কোস্টার টাইপের ছোট বা মিনি বাসের মত বাহনে।

এদিকে, স্টেডিয়ামের আশপাশের যত দোকানপাট আছে, সবই আগে থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। মানে বাংলাদেশ দল প্র্যাকটিসে আসার আগে থেকে স্টেডিয়ামের আশপাশে জন সাধারণের চলাফেরায়ও ছিল কঠোর নিষেধাজ্ঞা। সাংবাদিকদের প্র্যাকটিস কভার করার অধিকার থাকলেও কোনোভাবেই কাউকে মাঠের ভিতরে যাবার অনুমতি দেয়া হয়নি। প্রেস বক্স থেকে তা কভার করতে হয়েছে। মাঠে ঢুকে নেমে আউটফিল্ড দেখার বা মূল মাঠে যাবার অনুমতি মেলেনি। এছাড়া সাংবাদিকদের অন্তত চার-পাঁচ দফা তল্লাশির পর প্রেসবক্সে যাবার অনুমতি মিলেছে।

আর যেখানে সাংবাদিকদেরই মাঠে ঢুকতে রাজ্যের নিরাপত্তা বেস্টনি পার হতে হয়েছে, সেখানে সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগি বা জনসাধারণের মাঠে ঢোকার প্রশ্নই আসে না।

এ বিষয়ে বিসিবি মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম আরও জানান, ‘যেহেতু গতকাল বুধবার রাতে বিমান ভ্রমণের পর জাতীয় দল লাহোর এসে পৌঁছেছে, তাই আজ প্র্যাকটিসে খুব হার্ড ট্রেনিং করানো হয়নি। হালকা মাঝারি ট্রেনিং সিডিউল শেষে ক্রিকেটাররা প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে হোটেলে ফিরে গেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!