• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা ভাইরাস, নওগাঁয় কোয়ারেন্টাইনে ৮৮ জন


নওগাঁ প্রতিনিধি মার্চ ১৭, ২০২০, ০২:৫৬ পিএম
করোনা ভাইরাস, নওগাঁয় কোয়ারেন্টাইনে ৮৮ জন

ছবি: ইন্টারনেট

নওগাঁ: চীন থেকে ছড়ানো করোনা হানা দিয়েছে বাংলাদেশে। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে নওগাঁয় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বিদেশ থেকে আসা আরও ৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া তাদের পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। 

আর এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট করোনা ভাইরাসের আশঙ্কায় ৮৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।  জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নতুন করে ৪৪ ব্যক্তি বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছেন। আগের ৪৪ জনসহ মোট ৮৮ জন এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

যাদের মধ্যে রয়েছে, নওগাঁ সদর উপজেলায় ৯ জন, মান্দায় ২ জন, রাণীনগরে ২ জন, আত্রাইয়ে ২৪ জন, মহাদেবপুরে ৮ জন, পত্নীতলায় ২ জন, নিয়ামতপুরে ৫ জন, বদলগাছীতে ১৩ জন, ধামইরহাটে ১ জন এবং সাপাহার উপজেলায় ২২ জন ব্যক্তি আছেন। তারা সম্প্রতি সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, ভারত, কুয়েতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। 
বিদেশফেরত এসব ব্যক্তিদের নিজ নিজ বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। জেলার আত্রাই এবং সাপাহার উপজেলায় সবচেয়ে বেশি যথাক্রমে ২, ৪ জন এবং ২২ জন বিদেশফেরত ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। 

এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কল্যাণ চৌধুরী বলেন, বিদেশফেরত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের আপনজনদের কাউকে নিজ বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের ওপর নজরদারি রাখছেন। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হবে। তাদের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেলে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

বিষয়টি নিয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, বিদেশফেরত ব্যক্তিরা সবাই পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তাদের শারীরিক কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। করোনা ভাইরাস নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের একটি ভবনকে আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। এখানে ৮০ জন রোগীকে রাখা যাবে। এছাড়া নওগাঁ সরকারি কেডি স্কুল ক্যাম্পাস এলাকায় অবস্থিত সমাজসেবা অধিদপ্তরের একটি ভবনকেও আইসোলেশন ইউনিট করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখানে ২০ জন রোগী থাকতে পারবেন। 

এছাড়া প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি করে বেড নিয়ে একটি করে আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ১৩০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সক্ষমতা রয়েছে নওগাঁয় জানিয়েছেন ডেপুটি সিভিল সার্জন মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ। 

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!