করোনা সংকটে বিএনপি আজব তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে

ঢাকা : মহামারি করোনাভাইরাসের সংকটে বিএনপি নেতারা আজগুবি তথ্য সরবরাহ করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (৬ জুলাই) দুপুরে সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারী বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের সংকটের শুরু থেকে সরকার সবাইকে নিয়ে সমন্বিত ভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এখন প্রায় ৭৩টি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা হচ্ছে। দিন দিন সক্ষমতা বাড়ছে, কেন্দ্র থেকে উপজেলা পর‌্যায় পর‌্যন্ত পরীক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে কোভিড-১৯ হাসপাতাল প্রস্তুত করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তৃতি রয়েছে।

তিনি বলেন, “সরকার যদি অদক্ষ বা অযোগ্য হতো তবে এ সময়ে এমন ব্যবস্থা কি নিতে পারতো? এই পর্যন্ত ৭২ হাজার ছয় শত ২৫জন করোনাভাইরাসের রোগী সুস্থ হয়েছে। সুস্থতার হার শতকরা ৪৪. ৭২ ভাগ এবং মৃত্যুর হার শতকরা ১.২৬ । মৃত্যুর এই হার যে কোন দেশের তুলনায় কম। ইউরোপ আমেরিকা এমন কি প্রতিবেশি দেশ ভারতে থেকে এখানে অনেক কম। যদিও সরকার একটি মৃত্যুও প্রত্যাশা করে না।

“এখানে শুধু মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কথা বলে, অথচ এত সংখ্যক লোক সুস্থ হচ্ছে এটা তাদের চোখে পড়ছে না। তাদের (বিএনপি) দৃষ্টিভঙ্গি যে নেতিবাচক এটাই তার প্রমান।“

সরকারের সমন্বিত পদক্ষেপে দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে দাবি করে সগক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইতোমধ্যে ২হাজার ডাক্তার ৫হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ২হাজার মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট নিয়োগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র দিন দিন বাড়ানো হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়েও এখন পরীক্ষা করানো হচ্ছে। বেসরকারী হাসপাতালগুলোকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।

“বিশ্বের অনেক দেশই নিজেদের সামর্থ দিয়ে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। বহু দেশ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার সীমাবদ্ধতা নিয়েও করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবিলার সর্বাত্তবক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। দিন দিন শেখ হাসিনা সরকার সুরক্ষা সামগ্রী বাড়াচ্ছে, বেন্টিলেশন ব্যবস্থা ও ডাক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করছে।সরকারের সমন্বিত দক্ষতার কারণে এসব করা সম্ভব হচ্ছে। অথচ বিএনপির কার‌্যক্রম শুধু বিবৃতিরে মধ্যেই সীমাবদ্ধ।”

সংকটে বিএনপি নেতারা আজগুবি তথ্য সরবরাহ করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা হাস্যকর। দুর্নীতিতে পর পর পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের দল বিএনপি, লুটপাটের জন্যই জণগনের কাছে বার বার প্রত্যাক্ষাত হয়েছে। দুর্নীতি আর বিএনপি সমার্থক বলেই মানুষ মনে করে।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান এবং প্রতিনিয়ত সততায় দেশ-বিদেশে সমাদ্রিত ও প্রশংসিত।  দুর্নীতিবাজ যেই হোক দলীয় পরিচয়ের হলেও তাকেও ছাড় দেয়া হচ্ছে না, এটাই হলো বাস্তবতা। করোনাভাইরাসের সংকটে দায়িত্বশীল আচরণ না করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত নালিশের রাজনীতি আঁকড়ে ধরেছে এবং এই করোনাভাইরাসের সংকটকালে আজগবী সব তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আর অন্ধকারে ডিল ছুড়ছে অবিরাম।”

“বিএপির কথা শুনে মনে হয়, পূর্ণিমার রাতেও তারা আমাবশ্যার অন্ধকার দেখতে পান। বিএনপিকে বিভাজন ও বৈরিতার রাজনীতি পরিহার করে মানুষ বাঁচানো ও করোনাভাইরাসের প্রতিরোধের লড়াইয়ে আবারও সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সোনালীনিউজ/এমএএইচ