• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা সংকটেও কক্সবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন


কক্সবাজার প্রতিনিধি মে ১৮, ২০২০, ১২:৪১ পিএম
করোনা সংকটেও কক্সবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন

কক্সবাজার : করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কক্সবাজারে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কক্সবাজারে ৩ লাখ ৭৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।

আশা করা হচ্ছে, এই করোনা পরিস্থিতিতে কৃষকদের আন্তরিকতার কারণে তার চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হবে। তবে যোগযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকার কারণে মাঠ পর্যায়ে ধান কাটাসহ বিক্রয় বিপণনে কৃষকদের সমস্যা বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে অনেক কৃষক।

কক্সবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কক্সবাজারে বোরোর বাম্পান ফলন হয়েছে। এই মৌসুমে জেলায় ৫২ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭৭ হাজার টন।

বর্তমানে কৃষকের মাঝে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রতি হেক্টর জমিতে ৫/৬ টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। সে হিসাবে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হবে। তবে করোনা কালিন সময় শ্রমিক এবং পরিবহনসহ নানা সংকটে ছিল বলে জানান কৃষি অফিস।

এদিকে পিএমখালী ঘাটকুলিয়া পাড়ার কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন,করোনা সংকটে সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূলে ধান এবং সার দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি তবে আমরা সেটা পায়নি। অথচ আমি প্রতি মৌসুমে ১৭ কানি জমিতে ধান চাষ করি।

মুলত সরকারি দলের নেতাএবং কৃষি অফিস ভিত্তিক কিছু দালাল আছে যারা কৃষক না হয়েও কৃষকের তালিকায় না লেখে সবার আগে সরকারি সুবিধা পায়। আর প্রকৃত কৃষকরা এই সুবিধা পায় না।

একই এলাকার আলী আকবর বলেন,অনেকে বলছে শ্রমিক নাই অথচ আমি আগে ধান কাটতাম দৈনিক ৭০০ টাকা দিয়ে (ভাত সহ) এখন ৮০০ টাকা দিয়েও শ্রমিক পায়নি।

ইসলামপুর নাপিতখালী এলাকার রুহুল আমীন বলেন,করোনা সংকটে বিভিন্ন দপ্তরে নানান ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়েছে শুনেছি।কিন্তু কৃষি বিভাগ কোনো সুবিধা দিয়েছে সেটা আমরা জানি না। কোনো সার বা বীজ আমি পায়নি। তবে আমার ১২ কানি জমিতে ধান আল্লাহর রহমতে ভাল হয়েছে। তবে গরম বেশি হওয়ার কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে চায় না। তাই বেশি টাকা খরচ হয়েছে। সে হিসাবে ধানের ন্যায্য দাম পাওয়া যায় না। আর সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে গেলে হয়রানির কারণে করা যায় না। আগে দুইবার গিয়েছিলাম সদর খাদ্য গুদামে; আমার ধান চিটা এবং কম শুকনো বলে ফেরত দিয়েছিল। তাই সব ধান স্থানীয় মিলে বিক্রি করে দিয়েছি।

চকরিয়া হারবাং এলাকার কৃষক আবদুস সবুর বলেন,আমার জমিতে ধান আল্লাহর রহমতে ভাল হয়েছে। আমার এলাকায় বেশির ভাগ কৃষকের জমিতে ধান ভাল হয়েছে। মূলত পরিবেশ অনুকূলে থাকার কারনে ধান ভাল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে প্রচণ্ড গরমের কারণে ধান পরিবহন এবং শ্রমিক পেতে অনেক কষ্ট হয়েছে।

এ ব্যপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেণ,বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে কৃষকরাই হচ্ছে দেশে প্রাণ তাই সরকার তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!