• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহার আসছে

কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চান ভোটাররা


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৯, ২০১৮, ০২:২১ পিএম
কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা চান ভোটাররা

ঢাকা : দোড়গোড়ায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইশতেহার ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। ইশতেহারে কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বেকারত্ব কমানোর মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেবে দলগুলো- এমন প্রত্যাশা ময়মনসিংহের ভোটারদের। নেত্রকোণার সুসং দুর্গাপুরের বাসিন্দা প্রণয় নন্দী। বছর দুয়েক আগে শিক্ষা জীবন শেষ হয়েছে, কিন্তু তিনি আজও চাকরির সন্ধানে। তার মতো এমন অনেক তরুণই উচ্চশিক্ষিত হয়েও পড়েছেন বেকারত্বের কবলে।

নির্বাচনে যেই দলই জয়ী হোক, এসব তরুণরা চান বেকারত্বের হাত থেকে রেহাই। তারা জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত নির্বাচনী ইশতেহারে এমন সুযোগ করে দেয়া যাতে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। সরকারী চাকরিতে এমন সুযোগ করে দেয়া উচিত যাতে দক্ষ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে কাজ করার সুযোগ পায়।

নির্বাচনি ইশতেহারে বেকারত্বের পাশাপাশি মাদক নির্মূলে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলছেন ময়মনসিংহের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী সারওয়ার জাহান। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে যেন মাদক, সন্ত্রাস ও বেকাররত্ব দূরীকরনে বাস্তবমূলক দিক নির্দেশনা থাকে।’

সুশীল সমাজ চায় দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের নিশ্চয়তা। সমাজকর্মী আলী ইউসুফ জানান, একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের উচিত তাদের ইশতেহারে দুর্নীতি বন্ধে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া।

আর ব্যবসায়ীরা গুরুত্ব দিচ্ছেন অঞ্চলভিত্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে। নির্বাচনি ইশতেহারে জাতীয় উন্নয়নের সঙ্গে থাকে অঞ্চলিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। সে কারণে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে রাজনৈতিক দলের প্রতিশ্রুতি নয়, বিগত নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নকে মূল্যায়ন করবেন ভোটাররা, এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

খুলনার বিভাগের ১০ টি জেলায় সংসদীয় আসন ৩৬ টি। এই আসনগুলোতে স্বতন্ত্র ও দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। আর, প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনি ইশতেহার নিয়ে মাঠে নামবে দলগুলো। ইশতেহারে, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সমাধানের প্রতিশ্রুতি থাকবে বলে মনে করেন খুলনার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এই অঞ্চলের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে কীভাবে আর্থ-সমাজিক উন্নয়ন হবে, সেই চিত্রও থাকবে ইশতেহারে।

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করলে, আগামীতে প্রার্থীদের ওপর আস্থা হারাবেন ভোটাররা- এমন মত সুজনের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান রঞ্জুর।
এছাড়া এবার ইশতেহারে শুধু উন্নয়নের ফুলঝুড়ি নয়। সমস্যা ও সম্ভাবনার পাশাপাশি ইশতেহারে দেয়া প্রতিশ্রুতি, বাস্তবায়ন করবেন নির্বাচিত প্রার্থীরা এমনটাই প্রত্যাশা ভোটারদের।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!