• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলকাতায় নিহত সোহাগের দাফন সম্পন্ন


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৪:৩৩ পিএম
কলকাতায় নিহত সোহাগের দাফন সম্পন্ন

ঝিনাইদহ : ভারতের কলকাতায় গাড়িচাপায় নিহত গ্রামীণফোনের রিটেইল সাপোর্ট ম্যানেজার কাজী মুহাম্মদ মঈনুল আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) বাদ জোহর ঝিনাইদহ শহরের ভুটিয়ারগাতি রসুলপুর মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে নামাজে জানাজা শেষে ওই মাঠেই তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এ সময় ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, গ্রামীনফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, নিহত সোহাগের বিধবা স্ত্রী, একমাত্র শিশুপুত্র ও ঝিনাইদহের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিএসএফ। মঈনুলের লাশ তার চাচাতো ভাই শাফী রহমতুল্লাহ জিহাদ বুঝে নেন।

ওই দুর্ঘটনায় কুষ্টিয়ার খোকশা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে সিটি ব্যাংকের অফিসার ফারহানা ইসলাম তানিয়া নিহত হন। তার লাশ গ্রহন করেন চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, চিকিৎসার উদ্দেশে তারা গত ১৪ আগস্ট কলকাতায় যান। ১৬ আগস্ট চিকিৎসা শেষে ফারজানা, মাঈনুল ও চাচাতো ভাই শাফী রহমতুল্লাহ জিহাদসহ তারা তিনজন কলকাতার সেক্সপিয়র সরণিতে বৃষ্টির কারণে তারা একটি  ট্রাফিক পুলিশ পোস্টে সিএনজির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। শুক্রবার মধ্যরাতে একটি জাগুয়ার তীব্র গতিতে শেক্সপিয়ার সরণি ধরে বিড়লা কলামন্দিরের দিকে যাচ্ছিল। লাউডন স্ট্রিটের কাছে সেটি একটি মার্সিডিজকে সজোরে ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের পোস্টে ঢুকে পড়লে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হয়।

তাদের সঙ্গে থাকা শফী বলেন,  বৃষ্টির  কারণে মঈনুল, তার চাচাত ভাই মো. শাফী রহমুল্লাহ জিহাদ এবং তানিয়া ওই পুলিশ পোস্টে আশ্রয় নিয়ে তারা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি গাড়ি উল্টে এসে তাদের ওপর পড়ে। ওই ঘটনায় কলকাতার নামি রেস্তোরাঁ আরসালানের মালিকের ছেলে পারভেজ আরসালানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোনালীনিউজ/এটি/এএস

Wordbridge School
Link copied!