• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলেজছাত্রী, তরুণী ও এক শিশুকে ধর্ষণ


সোনালীনিউজ ডেস্ক আগস্ট ১৮, ২০১৯, ১১:১৪ এএম
কলেজছাত্রী, তরুণী ও এক শিশুকে ধর্ষণ

ঢাকা: গাইবান্ধায় কলেজছাত্রী, বগুড়ায় তরুণী ও সিলেটে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বগুড়ায় ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে ব্যর্থ অনশনের পর অবশেষে স্কুলছাত্রী সেই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে। গাইবান্ধা ও ধামরাইয়ের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদিকে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ভোলায় গণধর্ষণের শিকার শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোববার (১৮ জুলাই) তার ফের অপারেশন হতে পারে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

সিলেট : বুধবার বিকালে বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা গ্রামে ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আঙ্গুরা গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে সে পলাতক। কিন্তু ৪ দিনেও এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। প্রভাবশালীদের চাপে মামলা করতে পারছে না ভিকটিমের পরিবার। কারণ নদী ভাঙনে ভিটে-বাড়ি হারানোর পর ভিকটিমের পরিবারকে ওই ধর্ষকের চাচারা আশ্রয় দিয়েছে।

এ কারণে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন তারা। বর্তমানে ভিকটিম শিশুটি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবনী শংকর যুগান্তরকে বলেন, ভিকটিমের পরিবার অভিযোগ দেবে বলে নিশ্চিত করেছে। ধর্ষণের ঘটনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মামলা রেকর্ডের পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বগুড়া : দুপচাঁচিয়ায় বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ শনিবার সকালে নূর ইসলাম (২৭) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই তরুণীকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, অভিযুক্ত নূর ইসলাম দুপচাঁচিয়ার কনকায় গ্রামের মৃত তোতা সরদারের ছেলে। সে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে ১ জুলাই তাকে ধর্ষণ করে। তরুণী বিয়ের কথা বললে নূর ইসলাম এড়িয়ে যায়। শুক্রবার রাতে পুনরায় ধর্ষণের চেষ্টা করলে ওই তরুণী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা দুপচাঁচিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণী শনিবার সকালে নূর ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গাইবান্ধা : সদর উপজেলার দারিয়াপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী স্থানীয় দারিয়াপুর হাজী ওসমান গণি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে পুলিশ কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক ও তার সহযোগী আমিনুল ইসলামকে আসামি করে বুধবার রাতে গাইবান্ধা সদর থানায় অভিযোগ দেন। বৃহস্পতিবার অভিযোগটি থানায় এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। ওইদিন বিকালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

অভিযুক্ত আবু বক্কর সিদ্দিক গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম বারবলদিয়া বেকাটারী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। সে বর্তমানে রংপুর জেলায় কর্মরত এবং তার সহযোগী আমিনুল ইসলাম একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে লোকলজ্জায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ওই ছাত্রী। গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খান মো. শাহরিয়ার বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিককে গ্রেফতারের জন্য বিভাগীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অপর আসামি আমিনুলকেও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ধামরাই (ঢাকা) : অভিযোগে জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুর গ্রামের মো. হাছেন আলী জুলুর ছেলে ও পুলিশের কনস্টেবল পদে সম্প্রতি নিয়োগপ্রাপ্ত মো. আলামিন হোসেন এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করে। ওই ছাত্রীর বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার রাধানগর গ্রামে। পরে আলামিন ওই ছাত্রীকে জানায়, তার চাকরি নিতে ৬ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হবে। এ টাকা না দিলে অন্যত্র বিয়ে করে সে ৬ লাখ টাকা নেবে। ফলে ওই স্কুলছাত্রী হতাশ হয়ে পড়ে। কোনো উপায় না পেয়ে বিয়ের দাবিতে ওই ট্রেইনি পুলিশের বাবার বাড়িতে গিয়ে ৭ আগস্ট দুপুর ১২টায় অনশন শুরু করে। এ ব্যাপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ওই ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল আর ট্রেনিংয়ে যেতে পারবে না। আইনগত তার চাকরি করার কোনো অধিকার নেই। এসপি স্যারকে এ ব্যাপারে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

ভোলা : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন ভোলায় গণধর্ষণের শিকার শিশুটিকে শনিবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখেছেন। তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। আজ ফের তার অপারেশন করা হতে পারে। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে যে অপারেশন করা হয়েছে তা যথাযথ না হওয়ায় ফের অপারেশনের প্রয়োজন বলে জানা গেছে। শনিবারও শিশুটির রক্তক্ষরণ অব্যাহত ছিল। এ তথ্য জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগের সাবেক ডাক্তার জগলুল হায়দার জুয়েল জানান, শিশুটিকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ঈদের আগের রাতে ভোলা সদর উপজেলার চর ছিপলি গ্রামের গণপূর্ত বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মাফুজের বাড়ির ভাড়াটে আলামিন ও মনজুর আলম শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওই দু’জন নিহত হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!