• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাতারকে দেখিয়ে দিয়ে ভারতকে বার্তা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ


ক্রীড়া প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০১৯, ০৯:৫৫ পিএম
কাতারকে দেখিয়ে দিয়ে ভারতকে বার্তা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ

ঢাকা :  দুর্দান্ত খেলল বাংলাদেশ। স্কোরলাইন বলছে ০-২ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু বিশ্বকাপের আয়োজক ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে লড়াই করেই হেরেছে জামাল ভুঁইয়ারা। এই ম্যাচ দিয়ে ভারতকে বার্তা দিয়ে রাখল বাংলাদেশ। আগামী ১৫ অক্টোবর কলকাতার যুবভারতীতে হবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ।

এদিন স্রেফ ভাগ্যটাই সঙ্গে ছিল না। এতোগুলো শটের একটাও জাল খুঁজে পেল না! ফরোয়ার্ডরা ব্যর্থ না হলে হয়তো এ ম্যাচের গল্প ভিন্নভাবে লেখা হতো। শক্তি, সামর্থ্য ও র্যাং কিংয়ে সব দিক থেকে এগিয়ে থাকা কাতারের সঙ্গে সমান তালেই লড়াই করল বাংলাদেশ। কিন্তু দুই অর্ধে দুটি গোল খেয়ে বসে তারা। আর ম্যাচের ফলাফল তাই যায় কাতারের পক্ষেই। শেষ গোলটা এল অতিরিক্ত সময়ে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০২২ বিশ্বকাপ ও এশিয়াকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে  বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ও এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের কাছে ০-২ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

কাতারের এই দলটি বেশ অভিজ্ঞ। আট জনের খেলার অভিজ্ঞতা আছে ৫০টির বেশি ম্যাচ। বাকিদের মধ্যে যারা আছেন তাদের ছয় জনও খেলেছেন ২০টির বেশি। সে তুলনায় বাংলাদেশটি একেবারেই নবীন। কিন্তু ম্যাচে যেভাবে লড়াই করেছে তারা তাতে উপস্থিত প্রায় ৩০ হাজারের বেশি সমর্থক তাই ম্যাচ হারার পর হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিয়েছে তাদের। অনেক দিন পর যে তারা মন ভোলানো একটি ম্যাচ দেখতে পেল।

গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল এদিন বাংলাদেশই। ম্যাচের নবম মিনিটে রায়হানের ট্রেডমার্ক লম্বা থ্রোতে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন জীবন। কিন্তু নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। ঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে পারেনি কাতারি ডিফেন্ডাররাও। ফিরতি বলে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন জামাল। কিন্তু অল্পের জন্য নিশানা ঠিক থাকেনি। দুই মিনিট পর মিনিটে সুযোগ ছিল কাতারেরও। বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া আলমোয়েজ আলী আব্দুল্লাহর কোণাকোণি শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৮তম মিনিটে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের ক্রস ডি বক্সে সৃষ্ট জটলা থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান ইউসুফ আব্দুরিসাগ। জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করতে কোন ভুল করেননি এ ফরোয়ার্ড। নয় মিনিট পর ব্যবধান বাড়াতে পারতো কাতার। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে বাড়ানো বল দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে অসাধারণ এক ভলি করেছিলেন আল মোয়েজ। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

৪২তম মিনিটে ভাগ্যবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। জামাল ভুঁইয়ার কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় বারপোস্টে চারটি শট নিয়েছিল বাংলাদেশের জীবন, বিপলু ও ইব্রাহিমরা। তিন তিনটি দারুণ সেভ করেছিলেন কাতার গোলরক্ষক সাদ আল শিব। একবার গোলরক্ষকও পরাস্ত হয়েছিলেন।  প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে বেশ গোছানো ফুটবল খেলে বাংলাদেশ। বেশ কিছু দারুণ সুযোগও তৈরি করে তারা। তার প্রায় প্রতিটিই ছিল গোল করার মতো। যদিও এ অর্ধে বলার মতো সুযোগটা আসে অতিথিদেরই। ৫৯তম মিনিটে ইউসুফের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৭১তম মিনিটে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন ইয়াসিন হাসান। সুফিলের ক্রসে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গোলরক্ষককে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুকে না নামিয়ে শট নিলে হয়তো গোল পেতে পারতেন। কিন্তু তার দুর্বল হেড ধরতে কোন সমস্যা হয়নি কাতার গোলরক্ষকের।

৭৭তম মিনিটে আবার হতাশ হয় বাংলাদেশ শিবির। ইব্রাহিমের পাস থেকে বিপলুর নেওয়া একটি বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে গেলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের। এতো এতো আক্রমণের পর ধারার বিপরীতে ম্যাচের যোগ করার সময়ে বাউদিয়াফের গোল ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় কাতার। জটলায় বল পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে ০-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/এএস

Wordbridge School
Link copied!