• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কানাডা বারের আইনজীবী হলেন সেই রুমানা মঞ্জুর


নিউজ ডেস্ক ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, ১১:৩০ এএম
কানাডা বারের আইনজীবী হলেন সেই রুমানা মঞ্জুর

ঢাকা : ২০১১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক রুমানা মঞ্জুর তার স্বামীর আঘাতে অন্ধত্বের শিকার হওয়ার সময় তিনি ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার শিক্ষার্থী ছিলেন। অন্ধ হওয়ার পর ব্রেইলি পদ্ধতিতে আবারও পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। এই ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হয়েও নিজের শিক্ষা জীবনকে ব্যাহত হতে দেননি তিনি। সেখান থেকেই ২০১৩ সালে মাস্টার্স শেষ করে পরে তিনি ইউবিসির পিটার এ. অ্যালার্ড স্কুল অব ল’তে যোগ দেন। সেই ভয়াবহ পারিবারিক সহিংসতার ৭ বছর পর আইনজীবী হিসেবে গত শুক্রবার প্রথমবারের মতো কানাডার বারে যান রুমানা।

২০১১ সালে কানাডা থেকে ছুটিতে দেশে এসে স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ভয়াবহ সেই ঘটনার পর তিনি নানা প্লাটফরমে মানুষকে উদ্দীপিত ও সচেতন করতে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা জাগানো যায়।

চলতি সপ্তাহে সিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুমানা মঞ্জুর তার কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করে জানান, তার সেই সিদ্ধান্তের কথা যেটা তাকে নতুন সব বাধার মুখোমুখি হতে সামনের দিকে যেতে উদ্বুদ্ধ করছিলো। তিনি বলেন, আমি এখনও একটি অর্থপূর্ণ জীবন চাই। সেই অর্থবহ জীবন যেখানে আমি পেছনে ফিরে তাকাতে পারবো এবং বলতে পারবো আমি অলস বসে ছিলাম না। বসে বসে আমি কী কী হারিয়েছি সেসব নিয়ে কাঁদছিলাম না।

নতুন আইনের ক্যারিয়ার নিয়ে নিজের আকাক্সক্ষার কথাও জানান রুমানা মঞ্জুর। তার এই পদক্ষেপ তাকে ক্রমবর্ধমান আকাক্সক্ষা রয়েছে পারিবারিক সহিংসতার শিকার অন্যদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এরই মধ্যে রুমানা কানাডায় আদিবাসীদের জুনিয়র পরামর্শক হিসেবে আইন বিভাগে যোগ দিয়েছেন। তিনি আশা করছেন তার স্বপ্নকে উপলব্ধি করার একটি সুযোগ তিনি যাবেন।

রুমানা মঞ্জুর বলেন, ভালো আইনজীবী হওয়াই আমার লক্ষ্য। এই যোগ্যতা নিয়ে যদি আমি মানুষকে সাহায্য করতে পারি তাহলে ভাববো আমি কিছু অর্জন করতে পারলাম। সেই ঘটনার পরে জনসম্মুখে কথাবর্তায় তিনি সেই ট্রমাটিক অভিজ্ঞতার উল্লেখ করতেন অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য। পাশাপাশি চালাতেন নিজের পড়াশোনা।

রুমানা মঞ্জুর বলেন, আমি উপলব্ধি করতাম সচেতনতা ছড়িয়েই আমি মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করতে পারি যেন কোনো ব্যক্তি বুঝতে পারে কখন তাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। সেটাই ছিলো পারিবারিক সহিংসতার শিকার নারীদের সাহায্য করার মনোভাবের প্রথম পদক্ষেপ। প্রান্তিক শিশু, বয়স্ক, পুরুষ এবং সবাইকেই সাহায্য করার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!