• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কান্নায় ভেঙে পড়লেন মির্জা ফখরুল


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ৪, ২০১৮, ১০:৪২ পিএম
কান্নায় ভেঙে পড়লেন মির্জা ফখরুল

ঢাকা : নিষ্প্রাণ তরিকুল ইসলামের সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সঙ্গী তরিকুল ইসলামের মৃত্যুর খবর পেয়ে অ্যাপোলো হাসপাতালে ‍ছুটে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। হাজির হন ফখরুলও।

ক্যান্সারে আক্রান্ত তরিকুল এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে মারা যান।

পরে তরিকুলের মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে মির্জা ফখরুল কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তরিকুল ভাই এভাবে চলে যাবেন আমি মেনে নিতে পারছি না। আমি কোনোভাবে বিশ্বাস করতে পারছি না ভাই নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান এবং তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী দর্শনের আপাদমস্তক একজন নেতা।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, তরিকুল ভাই আমাদের নেতা ছিলেন। ৫০ বছর আমাদের সম্পর্ক। মজলুম জননেতা তরিকুল ভাই ছিলেন আপাদমস্তক রাজনীতিবিদ। জীবনের প্রথম থেকে রাজনীতি, শেষও রাজনীতিতে। এই রাজনীতি ছিল দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য। জনগণের আদালতে তিনি পরীক্ষা দিয়ে গেছেন। রাজনীতি বিচ্ছিন্ন তরিকুল ইসলাম কেউ নন। তরিকুল ইসলামই আমাদের আদর্শ।

এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ নেতাদের মধ্যে শোকের ছায়া ফুটে উঠে।

অ্যাপেলো হাসাতাল থেকে রাত সাড়ে ৭টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তরিকুল ইসলামের মরদেহ নিয়ে আসা হয় তার শান্তিগরের অ্যাপার্টমেন্টে। তার মরদহে দেখে সেখানেও বিএনপির অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন সেখানে ছিলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, তরিকুল ভাই আমাদের অনেকের রাজনৈতিক জীবনের অভিভাবক ছিলেন। তার এই মৃত্যু কখনো মেনে নেওয়ার নয়।

রাতে বারডেমের হিমঘরে তরিকুল ইসলামের মরদেহ রাখা হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!