ঢাকা: ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং ট্রাফিক শৃংখলা আনতে আগামীকাল ১৫ জানুয়ারি থেকে ট্রাফিক শৃংখলা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এই কার্যক্রম চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ডিএমপি’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। দু’সপ্তাহের ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রমে জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা এবং ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতিকল্পে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ডিএমপি। এই কার্যক্রমে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছে পুলিশ।
গেলো আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দু’দফায় মাসব্যপী ট্রাফিক সচেতনতা কর্মসূচি পালন করা হয়। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ট্রাফিক গাইড বই প্রচার, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা প্রদান, টার্মিনালে সভা সমাবেশ, সচেতনতামূলক ভিডিও প্রদর্শন, লিফলেট, পোস্টার বিতরণ, পথচারীদের ফুটওভারব্রীজ, আন্ডারপাস ও জেব্রাক্রসিং দিয়ে রাস্তা পারাপারে উদ্বুদ্ধকরণসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল।
এই কার্যক্রমে ট্রাফিক পুলিশের সাথে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট/রোভার স্কাউটস্/বিএনসিসি ও বাংলাদেশ গার্ল গাইডস্ সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হয়েছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি আবারো ট্রাফিক সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিএমডিপ’র ট্রাফিক বিভাগ। এই কর্মসূচিতে যা থাকবে:
১। ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ।
২। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সম্মানিত সদস্যবৃন্দকে নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন সমূহে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন।
৩। রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।
৪। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সাথে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং/রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান/স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৫। মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাশ শুরু এবং ছুটির সময়ে উক্ত এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা।
৬। হাইড্রলিক হর্ণ, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়াগতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটর সাইকেলের আরোহীদের হেলমেট পরিধানসহ সকল প্রকার ট্রাফিক আইন লংঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৭। ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯ টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৮। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০ টি ফুটওভারব্রীজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
৯। গাড়ী চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সকল সময় গাড়ীর দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ।
১০। জেব্রা ক্রসিং এর আগে লাইন বরাবর গাড়ী থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ী থামানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বামলেন ঘেষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ী থামিয়ে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা।
১১। ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
১২। ইতোপূর্বে মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমান বন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেইট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরাতন হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশন সমূহে রিমোর্ট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা।
১৩। ফার্মগেট হতে সাতরাস্তা পর্যন্ত রাস্তাটিকে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :