• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাশ্মীরে মানবাধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘিত


আন্তর্জাতিক ডেস্ক আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৭:৪০ পিএম
কাশ্মীরে মানবাধিকার পুরোপুরি লঙ্ঘিত

ঢাকা : কাশ্মীর ইস্যুতে ফের কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ব মানবিকতা দিবস উপলক্ষে টুইট করে তিনি জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের অধিকার পুরোপুরি ভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন টুইটের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিজেপি। কাশ্মীরকে সম্পূর্ণরূপে ভারতের অংশ হিসেবে মমতা দেখতে চান না বলে প্রশন্ত তুলেছেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।

সোমবার সকাল ৭টা ২ মিনিটে নিজের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে টুইটটি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটের প্রথম অংশে তিনি লিখেছেন, ‘আজ বিশ্ব মানবিকতা দিবস। কাশ্মীরের মানুষদের অধিকার পুরোপুরি ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা সবাই কাশ্মীরের মানবাধিকার ও শান্তির জন্য প্রার্থনা করি।’

মানবাধিকারের প্রশ্নে তিনি কখনোই ছাড় দেননি উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপর এক টুইটে লিখেছেন, ‘মানবাধিকার রক্ষা আমার হৃদয়ের অত্যন্ত কাছের বিষয়। ১৯৯৫ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং লক-আপে মৃত্যুর প্রতিবাদে আমি ২১ দিন রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছি।’

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে ভারত নিয়ন্ত্রিত ওই রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেয়ার বিল সংসদে পাস হওয়ার পর প্রথমে চুপ থেকে সরকারের বিরোধিতায় মুখ খুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা।

মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে এর প্রতিবাতদ জানিয়েছিল। বিলের ওপর ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে রাজ্যসভা এবং লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা।

এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও মোদি সরকারকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছিলেন। কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিদের আটকে রাখার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। সংসদে বিল পাস করানোর পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।

বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত মমতার এমন টুইটের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক কী বলতে চাইছেন, সেটা একটু স্পষ্ট করে বললে ভাল হয়। উনি কি কাশ্মীরকে পুরোপুরি ভারতের অঙ্গ হিসেবে দেখতে চান না? যদি না চান, তা হলে স্পষ্ট করে বলে দিন। সবারই বুঝতে সুবিধা হবে যে, তিনি ঠিক কী চাইছেন।’

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!