• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
বগুড়ায় ৪ খুনের রহস্য উদ্ঘাটন

কিলিং মিশনে অংশ নেয় ৯ জন, গ্রেপ্তার ৩


আদালত প্রতিবেদক মে ১৫, ২০১৮, ১০:০৩ পিএম
কিলিং মিশনে অংশ নেয়  ৯ জন, গ্রেপ্তার ৩

বগুড়া : বগুড়ার শিবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর চার খুনের রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে।  মাদক-সংক্রান্ত পাওনা ছয় হাজার টাকা ও পূর্ববিরোধ নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা তিনজনকে গ্রেপ্তারসহ খুনিদের চিহ্নিত করেছেন।  গ্রেফতারকৃত জুয়েল শেখ সরাসরি খুনে অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। অন্য দুজন আটমুলের চন্দনপুর তালুকদারপাড়ার আবুল কালাম আজাদ ও ডাবুইর গ্রামের মো. রুবেল। কিলিং মিশনে ৯ জন অংশ নিয়েছিল বলে তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

পুলিশ সুপার মো. আলী আশরাফ ভূঞা তার কার্যালয়ে সোমবার (১৪ মে) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, বগুড়া জেলা পুলিশের সঙ্গে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ইন্টেলিজেন্স শাখার একটি টিম যৌথ অভিযানে ধানক্ষেত থেকে চারজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের পর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে মাঠে নামে পুলিশ।  মাদক-সংক্রান্ত পাওনা টাকার বিরোধ নিয়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে মামলার এ পর্যায়ের তদন্তে উঠে এসেছে।  হত্যায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতার করা হলে পুরো ঘটনা জানা যাবে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

পুলিশ জানায়, ঘটনার কয়েকদিন আগে নিহত জাকারিয়ার সঙ্গে মাদক বিক্রি ও পাওনা টাকা নিয়ে খুনি চক্রের একজনের মারপিট হয়।  তার সঙ্গে পূর্ববিরোধও চলছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে জাকারিয়া ও তার বন্ধু সাবরুলকে হত্যার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।  সে অনুযায়ী মাদক সেবন ও পাওনা টাকা দেওয়ার নাম করে তাদের দুজনকে রুবেলের বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়।  পরিকল্পনা অনুযায়ী কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া ৯ জনই তাদের মোবাইল ফোন ৬ মে বিকাল থেকে বন্ধ করে রাখে।  সাবরুল ও জাকারিয়াকে পরে নেওয়া হয় ধানক্ষেতে।  পাশের একটি শশাক্ষেতের বেড়ায় বাঁধা দড়ি এনে জাকারিয়া ও সাবরুলের হাত বেঁধে রাত ১১টায় তাদের দুজনের গলা কাটা হয়।  জুয়েল শেখসহ অন্য একজন তাদের সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়।  তবে সে পলাতক রয়েছে।

আবুল কালাম আজাদ, রুবেলসহ কিলিং মিশনের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে থেকে হত্যায় সহযোগিতা করে।  দুজনকে গলা কেটে হত্যার পর ওই ক্ষেতের মাঝ দিয়ে আসা পাশের জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হেলাল ও খবির ঘটনাক্রমে উপস্থিত হয়ে খুনিদের দেখে ফেলে। তারাও মাদক সেবন ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।  কিলিং স্পটে এ দুজন এসে পড়ায় তাদেরও খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় খুনিরা এবং একইভাবে তাদের জবাই করা হয়।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, রুবেল শেখকে আদালতে স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য পাঠানো হয়েছে।  এ ছাড়া গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুজনকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।  গত ৭ মে সকালে আটমুল ইউনিয়নের সাবরুল, জাকারিয়া এবং পাশের জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হেলাল ও খবিরের গলাকাটা মরদেহ ডাবুইর গ্রামের ধানক্ষেত থেকে পাওয়া যায়।  ৬ মে রাতে তাদের হাত বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে খুনিরা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!