• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কূটনীতিক বহিষ্কারে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ৯, ২০১৬, ০২:৩৬ পিএম
কূটনীতিক বহিষ্কারে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাপবাংলাদেশ এর আগেও দুবার পাকিস্তানি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের দেশ ত্যাগ করতে বলেছিল। সে হিসেবে ঢাকা এ নিয়ে তিনজন পাকিস্তানি কূটনীতিককে বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে বলেছে এবং গত মঙ্গলবার একজন বাংলাদেশি কূটনীতিককে পাকিস্তান দেশত্যাগ করতে বলেছে।
সূত্রে জানা গেছে, পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের পর উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সময়ক্ষেপণ করবে ঢাকা। দুদেশের বর্তমানে রাজনৈতিক সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় পার করলেও সম্পর্ক ছিন্ন বা মিশন ডাউনগ্রেড করার কোনও পরিকল্পনা বাংলাদেশের নেই।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কূটনীতিক জানান, ১৫ বছর আগে ২০০০ সালে পাকিস্তানের উপ-রাষ্ট্রদূত ইরফানুর রাজাকে বাংলাদেশ অবাঞ্চিত ঘোষণা করে বহিষ্কার করে। ঢাকার একটি সেমিনারে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি।
২০০০ সালের ২৮ নভেম্বরে প্রকাশিত বিবিসির একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, রাজা একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত নির্মমতা আওয়ামী লীগের কর্মীরা করেছিল, পাকিস্তান আর্মি নয়। একই রিপোর্টে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে বলা হয় ইতিহাস ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে তার অধীনস্ত কর্মকর্তার কোনও ধারণা নেই। সে সময়ে পাকিস্তান বাংলাদেশের কাউকে বহিষ্কার করেনি।
২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে পাকিস্তান দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মাজহার খান জালনোটসহ হাতেনাতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। পাকিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক তাকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাবার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে দেশত্যাগের জন্য বলে। এরপর তিনি বাংলাদেশ ছেড়ে যান। তখনও পাকিস্তান প্রতিশোধ হিসেবে বাংলাদেশের কাউকে বহিষ্কার করেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার জন্য বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এক বছর ধরে ফারিনা গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর তাকে দেশত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
কর্মকর্তাটি বলেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট কখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে আগের দুটি দেশত্যাগের ঘটনা থেকে এটি পৃথক।
তিনি বলেন রাজার ঘটনাটি একটি পাবলিক অনুষ্ঠানে ঘটেছিল এবং মাজহারকে পুলিশ জালনোটসহ হাতেনাতে ধরেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ এ গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ করবে না জেনে পাকিস্তান তার মুখরক্ষার জন্য বাংলাদেশি কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
তিনি আরও জানান, বহিষ্কারের এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সময়ক্ষেপণ করে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করবে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ শাহরিয়ার আলম মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রাখার জন্য যতটুকু ধৈর্য ধারণ করার দরকার আমরা সেটা করব। পাকিস্তানে কার্যক্রম কমানোর কোনও চিন্তাভাবনা আমাদের নেই।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচিতে বাংলাদেশের দুটি মিশন রয়েছে।


সোনালীনিউজ/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!