• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কৃত্রিম পায়ে হেটে স্কুলে যাচ্ছে প্রতিবন্ধী আছমা


রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি অক্টোবর ৩১, ২০১৮, ১০:০৯ পিএম
কৃত্রিম পায়ে হেটে স্কুলে যাচ্ছে প্রতিবন্ধী আছমা

নারায়ণগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জের জাঙ্গীর এলাকার জন্মগত এক পা হীনা দিনমজুর জাফর আলীর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আছমা আক্তারকে কৃত্তিম পা দান করলেন কলামিষ্ট গবেষক ও রূপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি লায়ন মীর আব্দুল আলীম। এতে শিক্ষার্থী আছমার মুখে হাসি ফুটেছে । স্বপ্ন পূরণ হয়েছে দরিদ্র অভিভাবক আছমার মা আছিয়া বেগমের। কারণ অন্য স্বাভাবিকদের সঙ্গে তালমিলিয়ে পায়ে হেটে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছে আছমা। সে বড় হয়ে চিকিৎসক হবে; দু’চোখে স্বপ্ন তার।  

আব্দুল হক ভুঁইয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরিচালক মনিরুল হক ভুইয়া জানান, তার বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আছমা। প্রতিদিনের ন্যায় খুড়িয়ে খুড়িয়ে দেড় কিলোমিটার পথ হেটে বিদ্যালয়ে যাতায়াত দৃশ্য চোখে পড়ে একই বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহিরা তাসফি প্রভার বাবা মাহবুব আলম প্রিয়’র। তিনি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পায়ে তার হাটার দৃশ্য প্রচার করে।

বিষয়টি নজর কাড়ে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কলামিষ্ট লায়ন মীর আব্দুল আলীম সাহেবের। তিনি তাৎক্ষণিক আছমাকে কৃত্তিম পায়ের ব্যবস্থা করবেন বলে ঘোষণা দেন। এতে সাড়া পান তিনি।

মাহবুব আলম প্রিয় বলেন, আছমা দরিদ্র ঘরের সন্তান। তার দিনমজুর বাবা কোনোমতেই পারতেন না প্রায় লাখ টাকা দিয়ে একটি কৃত্তিম পা স্থাপন করতে। প্রথমে আমার ফেসবুকের পোস্ট দেখে রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি কলামিষ্ট ও গবেষক লায়ন মীর আব্দুল আলীম তার পা স্থাপনের ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আছমাকে কৃত্তিম পা স্থাপনের জন্য রাজধানীর ইন্দোলাইট নামক একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। সেখান থেকে পা কিনে তাৎক্ষণিক পা স্থাপন করে নিজেই প্রশিক্ষণ দেন। শুধু তাই নয়, আনুষঙ্গিক সামগ্রি নগদ অর্থ প্রদান করেন তিনি।

আছমার মা আছিয়া বেগম বলেন, আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমার অসহায় মেয়েটিকে হাটার ব্যবস্থা করায় আমি ঋণী।

কলামিষ্ট ও গবেষক লায়ন মীর আব্দুল আলীম বলেন, মানুষ মানুষের জন্য। আমরা সবাই মিলে দরিদ্রদেরকে সাধ্যমত সহায়তা করলে অনেক দুঃখি মানুষের মুখেও হাসি ফুটানো সম্ভব।

মারুফ-শারমিন স্মৃতি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গ্রেজেটভুক্ত সমাজ সেবক লায়ন মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বলেন, সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে কোনো দরিদ্রের সন্তানরাই অসহায়ত্ব বোধ করবে না। তাই সকলের উচিত এ ধরনের মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!