• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কে কার আগে, তা ঠিক করতেই মারামারি, অতঃপর...


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ১০:১২ পিএম
কে কার আগে, তা ঠিক করতেই মারামারি, অতঃপর...

ঢাকা:  পাঁচ অপহরণকারীর মধ্যে তিন সন্তানের জননী বিধবা এক নারীকে রাস্তা থেকে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার পর কে আগে ধর্ষণ করবে তা নির্ধারণ করতে মারামারি লেগে যায়। এ ঘটনায় প্রথমে ধর্ষণ করতে চাওয়া এক অপহরণকারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে অপর চারজন। এরপর ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অপহরণকারীরা। ধর্ষণ শেষে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলা ওই নারীর পাশেই নিহত অপহরণকারীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় বাকিরা।

চাঞ্চল্যকর এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলার নেভেলি এলাকায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, তামিলনাড়ুর নেভেলিতে ৩২ বছরের এক বিধবা নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত চার সন্দেহভাজন ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই চারজনের বিরুদ্ধে তাদেরই এক সঙ্গীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে পুলিশ বলছে, রাস্তা থেকে ওই নারীকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যাওয়ার পর কে আগে ধর্ষণ করবে তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কের পর মারামারি শুরু হয়। পরে চারজন মিলে প্রথমে ধর্ষণ করতে চাওয়া অপহরণকারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। ধর্ষণের শিকার বিধবা ওই নারীর তিন সন্তান রয়েছে। 

পুলিশ বলছে, মুদি দোকান থেকে ফেরার পথে একটি মোটরসাইকেলে এসে তার রাস্তা আটকায় অপহরণকারীরা। ওই সময় রাস্তা দিয়ে একাই ফিরছিলেন তিনি। অপহরণকারী পাঁচজনই সেসময় মদ্যপ ছিলেন। রাস্তায় ওই নারীকে উত্যক্ত করা শুরু করেন অভিযুক্তরা। ওই নারী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন; কিন্তু অপহরণকারীরা ধাওয়া দিয়ে আটক করে তাকে। এরপর তাকে টেনে হেঁচড়ে পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় তারা। জঙ্গলে নেয়ার পর কে আগে ওই নারীকে ধর্ষণ করবে তা নিয়ে অপহরণকারীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এম প্রকাশ নামে এক অপহরণকারী প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করতে চাইলে বাকিরা তাতে আপত্তি জানায়। 

পরে বাকি চারজন তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর অবচেতন অবস্থায় মরদেহের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর গণধর্ষণের শিকার নারী পুলিশ স্টেশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে কুড্ডালো পুলিশ।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!