• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেন এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে তদন্ত করতে হবে


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৭, ২০১৯, ০৪:৩৩ পিএম
কেন এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে তদন্ত করতে হবে

ঢাকা : মিরপুর চলন্তিকা মোড় সংলগ্ন ঝিলপাড় বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ দাবি জানান তিনি।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এসব ঘটনায় দুঃস্থ ও দরিদ্র মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন। এ বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন হওয়া জরুরি।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত করে দেখতে হবে কেন এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে, যদি কোনো মানুষের মাধ্যমে এসব ঘটনা ঘটে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

চলন্তিকা ঝিলপাড় বস্তিতে আগুন লেগে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

এর আগে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা ঝিলপাড় বস্তিতে আগুনে পুড়ে যাওয়া বস্তি পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

এ সময় বিএনপির পক্ষ থেকে বস্তিবাসীদের আশ্বাস দিয়ে ফখরুল বলেন, আপনারা ধৈর্য ধরুন, আমাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্যে আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব। আমাদের পক্ষ থেকে যা করা যায় তাই করার চেষ্টা করা হবে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে বস্তিটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায় বস্তিবাসীর।

ইসি বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাইলেন ফখরুল : খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ সরকার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের অধীন ফের জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এদিন গাজীপুর পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবদুল করিমসহ তার অনুসারীদের বিএনপিতে যোগ দেন। যোগদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। বিএনপি মহাসচিব তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

যোগ দেয়া নেতাকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, যখন বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের কর্মকাণ্ডের রাজনীতি করা কঠিন হয়ে পড়েছে, যখন ২৬ লাখ মানুষকে আসামি করা হয়েছে, এক লাখের উপরে মামলা করা হয়েছে, যখন এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, সেই সময় আবদুল করিমের মতো একজন জনপ্রিয় নেতা বিএনপিতে যোগ দেয়া নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এই সময়ে তার বিএনপিতে যোগ দেয়াটা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। আমরা সঠিক পথে আছি, আমাদের রাজনীতি সঠিক পথে আছে। তাকে আমরা দলে বরণ করে নিচ্ছি।

শক্তিশালী সংগঠন গড়ার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সংগঠনের কোনো বিকল্প নেই। সংগঠন থাকলে আন্দোলন, নির্বাচনে সফল হতে পারবো। এই কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এদেশের সব মানুষ বিশ্বাস করে খালেদা জিয়াই একমাত্র গণতান্ত্রিক নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে পারেন। আমরা সবার আগে দেশনেত্রীর মুক্তি চাই। তিনি এদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বের প্রতীক।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বর এদেশে কোনো ভোট হয়নি, এটি সবাই জানে। এই দখলদারি সরকার, যারা নির্বাচন না করে ক্ষমতা দখল করে নিয়েছে তাদেরকে পদত্যাগ করে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। একই সঙ্গে যে নির্বাচন কমিশন আছে তাদেরকে বাতিল করে দিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এটা ছাড়া দেশে কোনোদিন রাজনৈতিক ও অর্থনেতিক মুক্তি আসবে না।

সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিরাজনীতিকিকরণ করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেন রাজনীতি করতে না পারে সেজন্য একে একে সংবিধানে পরিবর্তন করেছে। রাজনীতির মাঠকে সম্পূর্ণভাবে শূন্য করে দেয়ার একটা চক্রান্ত তারা শুরু করেছে। যার মূল উদ্দেশ্য হলো এই দেশে একটাই দল থাকবে। আর কোনো দল থাকবে না।

সরকার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে সিন্ডিকেট করছে এমন অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোরবানির চামড়া বিক্রি করে বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা চলত। আজকে সেটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তাদের দলীয় দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট ও সরকারের নীতিমালা না থাকার কারণে চামড়া ধ্বংস হয়ে গেছে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম শুক্কুর, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল হক মোল্লা প্রমুখ। এসময় গাজীপুর মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী ও সদ্য বিএনপিতে যোগ দেয়া নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!