• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কেন কোচকে ভয় পাওয়ার কথা বলেছিলেন তামিম?


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম
কেন কোচকে ভয় পাওয়ার কথা বলেছিলেন তামিম?

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: গতবারের মতো এবারও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নেতৃত্বে থাকছেন তামিম ইকবাল-শুরুর দিকে এমনটাই মনে করেছিল সবাই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ‘নিষিদ্ধ’ অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ আসাতে তাঁর হাতে সপে দেওয়া হলো নেতৃত্বভার। কিন্তু কনুইয়ের চোট পেয়ে ফিরে গেছেন স্মিথ। এরপর ভাবা হয়েছিল আবার নেতৃত্বের জোয়াল কাঁধে উঠছে তামিমের। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেটি দেওয়া হলো ইমরুল কায়েসকে। অবশ্য খারাপ করছেন না জাতীয় দলের এই বাঁহাতি ওপেনার।

কিন্তু রান পাচ্ছিলেন না তামিম ইকবাল। রান খরায় ভুগছিলেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা দুই ম্যাচে ‘শূন্য’ মেরেছিলেন আগের ম্যাচেই। আর এই কারণে শুক্রবার খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল তামিমের জন্য অগ্নিপরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় অবশ্য লেটার মার্কস নিয়ে উতরে গেছেন তামিম।
ফর্মে না থাকলে যে কোনো ব্যাটসম্যানই স্নায়ুচাপে ভোগেন।

কিন্তু তামিম জানিয়েছেন, এমন চাপে তিনি নাকি আগে ভোগেননি,‘ আমার মনে হয় না গত সাত-আট বছরে আমি এত নার্ভাস ছিলাম কোনো খেলার আগে। আমি স্যারকে বলছিলাম (কুমিল্লা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন), “স্যার আমার খুব ভয় লাগছে।” তিনি তাঁর মতো করে আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছেন। এমনকি শহীদ আফ্রিদি এসে তাঁর গল্পগুলি বলছিল। ওরাও বুঝেছিল আমার অবস্থা। আমি একদমই স্বাভাবিক ছিলাম না। আমার মনে হয় না কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচেও আমি এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি।’

শুক্রবারের আগে যে ম্যাচটিতে শুণ্য করেছিলেন তামিম সেদিনও সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পরপর দুটি ম্যাচে ‘শূন্য’ মারার পরেও তাঁর ফুরফুরে মেজাজ দেখে সবাই অবাকই হয়েছিলেন। বিপিএলে সেদিন পর্যন্ত নিজের বাজে ফর্ম স্বীকার করে নিয়ে বাংলাদেশ ওপেনার বলেছিলেন , তিনি তাঁর রান-খরা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। কারণ তিনি জানেন, কেবল একটি ইনিংসই পুরো পরিস্থিতি পাল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট!

চ্যাম্পিয়নদের মতো পরের ম্যাচেই রানে ফিরলেন তামিম। তাঁর  ৪২ বলে ৭৩ রানের দারুণ ইনিংসটি যে কুমিল্লার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছে সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। ফর্মে ফেরার ইনিংসটি খেলার একপর্যায়ে তামিমের ভয়টা কেটে যায়। তবে মাঠ নেমেও তিনি স্নায়ুচাপটা প্রথমে কাটিয়ে উঠতে পারেননি, ‘প্রথম ছক্কাটা মেরেই সাহসটা আসে। প্রথম বাউন্ডারিটাও মনে হয়েছে হঠাৎ করেই হয়ে গেল। ছক্কাটা মারার পর সাহস এল। পরে একটা দুইটা সিঙ্গেল আসার পর ভালো বোধ করা শুরু করলাম। আসলে আমি যে ধরনের ব্যাটসম্যান, তাতে রানটা খুব বড় ব্যাপার। আমি কতটুকু বল খেলেছি এটার চেয়েও আমি কত রান করলাম, সেটা গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে। পাঁচ বল যদি ২০ রান করে ফেলি, সেই বিশটি রানই আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!