• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কেমন সাজে নিজেকে সাজাবেন ঈদের সকালে?


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ৫, ২০১৯, ০৭:২১ এএম
কেমন সাজে নিজেকে সাজাবেন ঈদের সকালে?

ঈদ সকালের সাজে রাখুন স্নিগ্ধতা; (ছবি- ইন্টারনেট)

ঢাকা : আজ বাদে কাল ঈদ। এরই মধ্যে প্রায় সবাই পৌঁছে গেছেন প্রিয় মানুষদের কাছে। আবার প্রিয় মানুষকে কাছে পেয়েও আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন অনেকেই। ঈদের আগের রাতে চাঁদ দেখে মেহেদি দেওয়া থেকে শুরু হয় ঈদ উৎসব। আর সে উৎসব পরিপূর্ণতা পায় ঈদের সকালে।

কেমন সাজে সাজাচ্ছেন নিজেকে ঈদের সকালে? আদরের সোনামণিকে নিয়েই বা ভাবছেন কী? গরম আর হালকা বৃষ্টি মেশানো এই আবহাওয়ায় কিন্তু স্বস্তিদায়ক পোশাকেই মিলবে আরাম। তার সঙ্গে চাই টুকটাক কিছু সাজ।

সেগুলো নিয়েই চলুন খানিকটা আলোচনা করা যাক-

সাজবে শিশু রঙিন পোশাকে : শিশুরা মানেই আনন্দ, উচ্ছলতায় ভরপুর। রঙিন পোশাকে তারা উৎসবে মেতে ওঠে রঙিন প্রজাপতি। আর ঈদের দিন সকালেই সেজে আনন্দ পায় তারা। আপনার পছন্দের পোশাক নয়, ঈদের সকালটা কাটুক ছোট্ট সোনামণির নিজের পছন্দের পোশাকে। এতে ওর আনন্দ হবে বেশি। মেয়ে শিশু হলে চুল আঁচড়ে এক পাশে লাগিয়ে দিন হেয়ার ক্লিপ। চাইলে হেয়ার ব্যান্ডও ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই ছোট শিশুদের ভারী সাজে সাজান, যা তাদের বয়সের সাথে বড্ড বেমানান। ওরা নিজের চঞ্চলতার সাজেই সুন্দর। তাই চিকন কাজলের রেখা, হালকা লিপগ্লসে সাজান তাকে।

ছেলে বাবুদের ঈদের সাজ বলতে মূলত পোশাকই বোঝানো হয়। পাঞ্জাবী না টি শার্ট? পছন্দ ছেড়ে দিন ওর ওপর। তবে ঈদের সকালে ভারী শার্ট না পরানোই ভালো। এক্ষেত্রে সুতি ফতুয়া বা গেঞ্জি পরাতে পারেন।

অল্প মেকআপের ছোঁয়া থাকুক তরুণীর মুখে : ঈদের সকালে নিজেকে যতটা সতেজ দেখানো যায় ততটাই ভালো। ভারী মেকআপ এড়িয়ে হালকা সাজে নিজেকে সাজান। ম্যাট আইশ্যাডো এড়িয়ে চোখের পাতা রাঙান পাউডার জাতীয় হালকা আইশ্যাডোতে। ঠোঁটের জন্য বেঁছে নিন স্কিন টোনের চাইতে এক শেড গাঢ় রং।

ঈদের সকালে গয়নাও পরুন হালকা ও ছোট। পাথরের লকেট কিংবা দুল পরতে পারেন। হাত ভর্তি চুড়ি না পরে ব্রেসলেট বা বালা পরতে পারেন। ইচ্ছে হলে পায়ে জড়াতে পারেন চিকন একটি পায়েল।

গৃহিনী সাজুক কাজের ফাঁকেই : ‘ঈদের সকালে সারাক্ষণ তো রান্নাঘরেই থাকবো, আমার আবার কীসের সাজ’— বেশিরভাগ গৃহিণীই এমনটা ভেবে থাকেন। কিন্তু ইদের আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখবেন কেন? ঈদের দিন সকালে যদি শাড়ি পরতে চান তবে হালকা রঙের সুতি শাড়ি পরুন। ডুরে শাড়ি পরলে কাজ সামলাতে পারবেন সহজে।

সেলোয়ার কামিজ পরলে কাজে সুবিধা হবে এমন উপাদানের পোশাক পরুন। ফুলহাতা পোশাক এড়িয়ে থ্রি কোয়ার্টার হাঁটার পোশাক করতে পারেন। যারা হিজাব পরেন তারা পরতে পারেন হালকা রঙা হিজাব।

চুল ছেড়ে না রেখে উঁচু করে খোঁপা করুন। ঈদের সকালে অতটা মেকআপের প্রয়োজন নেই। একটু টেনে কাজল দিন, ঠোঁটে হালকা রঙা লিপস্টিক আর গলা কানে ছোট সোনার গয়না— ব্যস, ঈদের সকালের জন্য আপনি তৈরি।

ঈদের সকালে কিশোর, তরুণ, মধ্য বয়স্ক সবাই’ই পাঞ্জাবি পরতে ভালোবাসেন। জমকালো কাজের পাঞ্জাবি পরার চল এখন নেই বললেই চলে। হালকা কাজের পাঞ্জাবি পরুন। যেহেতু ধর্ম ও সামাজিকতা জড়িয়ে আছে তাই ঈদের জামাআতে যাওয়ার সময় স্নিগ্ধ হয়েই থাকুন। সাধারণ পাঞ্জাবি আর টুপিতেই আপনি মানিয়ে যাবেন বেশ। গায়ে লাগিয়ে নিতে পারেন খানিকটা আতর। কেউ সুরমা পছন্দ করলে চোখের কোঠরে লাগিয়ে নিতে পারেন তা।

শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ। ঈদ আনন্দ ছুঁয়ে যাক প্রত্যেককে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!