• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোন্দল রুখতে মনিটরিং টিম


বিশেষ প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৬, ২০১৮, ০১:০১ পিএম
কোন্দল রুখতে মনিটরিং টিম

ঢাকা : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের মিশনে প্রধান অন্তরায় হতে পারে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। এমনটা ধরে নিয়েই তৈরি করা হয়েছে মনিটরিং টিম। দলের ৪ নেতাকে এ টিমের দায়িত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই ৪ নেতা ইতিমধ্যেই দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে কাজ শুরু করেছেন। নিজেরা দলের মনোনয়ন না পেলেও এখন এই ৪ নেতা নির্বাচনের কেন্দ্র বিন্দুতে। কোন্দল নিরসন ছাড়াও দলের জন্য ঝুঁকি থেকে যায় এমন আসনগুলোতেও উপদেশ-পরামর্শ দেবেন বলেও দলীয় সূত্রগুলো জানাচ্ছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা কাজ করবেন তাদের থামাতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ৩০০ আসনের মধ্যে যেসব আসনে দলের ভেতর অভ্যন্তরীণ কোন্দল তৈরি হয়েছে তা নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

এই নেতারা হলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বি এম মোজাম্মেল হক। যার নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের এই দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এই কমিটিকে সহযোগিতা করবেন দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেনসহ আরও বেশ কয়েকজন।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দল ক্ষমতায়। এ জন্য মনোনয়ন নিয়ে দলে এবার কোন্দল বাড়তে পারে এমনটা ধরে নিয়েই দলের সব চেয়ে দক্ষ সাংগঠনিক টিমকে তা রুখবার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দলের জন্য যে সব আসন ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে সেসব আসনেও কাজ করবে এই ৪ নেতা। এছাড়া এই টিমটি কেন্দ্রীয়ভাবে দলের প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ,মাঠ পর্যায়ের সর্বশেষ অবস্থা শীর্ষ নেতাদের অবহতিকরণসহ কেন্দ্রীয় সমন্বয়ের কাজটি করবে।

গত ২৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, দলের নির্বাচন পরিচালনার জন্য দক্ষ ও অভিজ্ঞ যে নেতৃত্ব,তারা সাধারণত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু এবার আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতের বিজেপিসহ অনেক রাজনৈতিক দলের মত ওই নেতাদের নির্বাচনের বাইরে রেখেছেন।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করবে আগামী ১১ ডিসেম্বর। এর আগেই আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সব ধরনের মতানৈক্য দূর করতে এই নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দলের অন্যতম যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই আমরা কাজ শুরু করেছি। মনোনয়নের জন্য যেসব জায়গায় কোন্দল হচ্ছে আমরা যে সকল জায়গায় বিদ্রোহীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলেছি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের মধ্যে যদি তারা প্রত্যাহার না করে তবে তাদের সরাসরি বহিস্কার করা হবে। এছাড়া আমরা বিভিন্ন জায়গায় দলের মনোনয়ন মনিটরিং করছি।

এছাড়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা বলেছেন, দলের সঙ্গে বিদ্রোহ করলে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। যে বিষয়টি দলীয় সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমের কাছেও প্রতিদিন বলছেন। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেয়া এসব নেতাকে বুঝিয়ে কিভাবে দলের মধ্যের দ্ব›দ্ব ও সংঘাত দূর করা যায় তা নিরসেনর জন্যও কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের ওই মনিটরিং টিম।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!