• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির বাজারে বেড়েছে উটের চাহিদা


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৭, ২০১৮, ০৫:৫৭ পিএম
কোরবানির বাজারে বেড়েছে উটের চাহিদা

ঢাকা: দেশী গরু, খাসির পাশাপাশি ক্রেতাদের নজর রয়েছে ভিনদেশী দুম্বা ও উটের ওপরও।  গত কয়েক বছর থেকেই কোরবানির বাজারে কদর বাড়ছে উটের। তাই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি উট-দুম্বার খামার। এরমধ্যে রাজধানীর মতিঝিলেই রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ উট খামার।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত ভারতের গুজরাট, রাজস্থানের মরুভূমি এলাকা ও হরিয়ানা প্রদেশ থেকে উট আমদানি করা হয়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বেনাপোল, বুড়িমারীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে উট আসে। সেগুলো সেখান থেকে চলে আসছে ঢাকায়। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভারত থেকে ঢাকায় নিয়ে আসে।

আগামী ২২ আগস্ট কোরবানির ঈদ। ইতোমধ্যে রাজধানীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট গাবতলীতে গরু, খাসি, ভেড়া কিছু কিছু আসতে শুরু করেছে। তবে উটের দেখা এখনো মেলেনি। যারা উট কিনতে ইচ্ছুক, তারা এরই মধ্যে ঘোরাঘুরি শুরু করেছেন উটের খামারগুলোতে।

রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে আড়াই বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে উটের খামার। এছাড়ও মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো, ডিপজল এন্টারপ্রাইজ, কেরানীগঞ্জ অ্যাগ্রোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কোরবানি উপলক্ষে উট আমদানি করে। এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় ছোট আকারে উটের আরও একটি খামার রয়েছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় গড়ে ওঠা সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান বলেন, এবার বেশ কিছু উট আনা হয়েছে, আরও কিছু উট আসছে। রাজস্থানের মরুভূমি এলাকা থেকে আমরা এসব উট আমদানি করি। এগুলোকে ‘খরাই উট’ বলা হয়। দামও পড়বে ১১ থেকে ১৫ লাখ টাকা। প্রতিটি উট থেকে ১১ থেকে ১২ মণ মাংস পাওয়া যাবে। খরাই উটের দু’ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। এক কুঁজবিশিষ্ট এবং দুই কুঁজবিশিষ্ট। তবে আমরা এবার এক কুঁজবিশিষ্টই আমদানি করেছি।

মতিঝিলে দেওয়ানবাগী উটের খামারে গিয়ে জানা যায়, বয়স ও প্রকারভেদে কোরবানি উপলক্ষে এ খামারে ৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মধ্যে উট বিক্রি হচ্ছে।

একটি উটে সাধারণত ১৮০ থেকে ২৫০ কেজি মাংস হয়। বড় বড় ব্যবসায়ী ও শৌখিন শ্রেণির মানুষ এসবের ক্রেতা বেশি। আর ৫৫-৬০ কেজি মাংস হয় প্রতিটি দুম্বার।

সোনালীনিউজ/জেএ

Wordbridge School
Link copied!