• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

কোল থেকে ছিটকে আগুনে পুড়ে ছাই সন্তান, মৃত্যুশয্যায় বাবা-মা


আনোয়ার হোসাইন সোহেল ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২০, ১২:৪৭ পিএম
কোল থেকে ছিটকে আগুনে পুড়ে ছাই সন্তান, মৃত্যুশয্যায় বাবা-মা

ঢাকা: একমাত্র সন্তানকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি শহিদুল কিরমানী ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে তাদের একমাত্র সন্তান রুশদি। এ ঘটনায় মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছেন তারা। 

শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন শহিদুল কিরমানী ৪৩ শতাংশ ও তার স্ত্রী জান্নাতুলের ৯৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের কেউ শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের পরিচালক ডাঃ সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে নিউ ইস্কাটনের দিলু রোডের একটি পাঁচতলা ভবনের গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

হাতপাতালে কাতরাতে কাতরাতে শহিদুল কিরমানী জানান, ভোর রাতে আগুনের খবর পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামছিলাম দ্রুত। এসময় আমার কোল থেকে ছিটকে পড়ে রুশদি। তারপর অনেক খুঁজেও ওকে পেলাম না।

আগুনে দগ্ধ শহিদুল কিরমানী তার স্ত্রী জান্নাতুলসহ আরো তিন জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের চার বছরের সন্তান মারা গেছেন। এছাড়া বাড়ির নিচ তলার বায়িং হাউজের থাকা কাদিরসহ আরেকজন নারী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে দগ্ধ শহিদুলের বাবা নিহত রুশদির দাদা এ কে এম শহীদুল্লাহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নাতির মরদেহ দেখেও ঠিকমত শনাক্ত করতে পারেননি। তিনি জানান, আমার নাতি রুশদি। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ায় শিশুটির মরদেহ ঠিকমতো চেনা যাচ্ছে না।

এ কে এম শহীদুল্লাহ আরো জানান, শহিদুল ও তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস দুজনে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণের পর নিচতলার বাথরুম থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর ভবনটির দ্বিতীয় তলায় সিঁড়ি থেকে এক নারী ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, স্বামী-স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা ঢামেক বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলায় চিকিৎসাধীন।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!