• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঠেলে দিচ্ছে মিয়ানমার’


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১৫, ২০১৮, ০৭:৪৬ পিএম
‘ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশে ইয়াবা ঠেলে দিচ্ছে মিয়ানমার’

ফাইল ফটো

ঢাকা: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, মিয়ানমারের মাদক ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে সমুদ্রসীমা জয়ের ফলে তেল, গ্যাসসহ খনিজসম্পদের মালিকানা হাতছাড়া হয়ে যায় মিয়ানমারের। এ কারণে বিক্ষুব্ধ হয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশে ইয়াবা ঠেলে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে বিপথগামী করতেই মিয়ানমার এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

সোমবার (১৫ অক্টোবর) ৪৯তম বিশ্ব মান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত বিএসটিআই মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

আমির হোসেন আমু বলেন, একসময় ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল আসত। কিন্তু বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে আলোচনার ফলে ভারত সরকার সীমান্ত এলাকায় ফেনসিডিল কারখানাগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ বিজিবি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কয়েকবার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে মিয়ানমার ইয়াবা পাচার বন্ধের কথা দিলেও সে কথা তারা রাখেনি। উল্টো ইয়াবার প্রস্তুতকারক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।

দিবসের প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই জাতীয় পর্যায়ে একমাত্র মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের ওপর গুণগত শিল্পায়ন এবং জনগণের জীবনের সুরক্ষার বিষয়টি নির্ভর করে। তাই বিএসটিআইকে গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্যের অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে। এ লক্ষ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জাতীয় মান প্রণয়ন জরুরি।

তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বব্যাপী মান ব্যবস্থাপনায় যেসব পরিবর্তন এসেছে, সেগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে মান প্রণয়ন, নির্ধারণ ও সংরক্ষণে অর্পিত দায়িত্বপালনের জন্য বিএসটিআই’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। এসব অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তি স্থানান্তর হবে। দেশিয় শিল্পকারখানায় দক্ষতার সঙ্গে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য এখন থেকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে আধুনিক প্রযুক্তিবান্ধব হালকা প্রকৌশল, প্লাস্টিক, কেমিক্যাল ও মুদ্রণ শিল্পখাত গড়ে তোলার লক্ষ্যে খাতভিত্তিক পৃথক শিল্পনগরী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার জেলা পর্যায়ে বিএসটিআই’র কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিএসটিআই’র মহাপরিচালক সরদার আবুল কালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ এবং বিএসটিআই’র পরিচালক (মান) মো. সাজ্জাদুল বারী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিএসটিআই’র কয়েকটি গবেষণাগারের সনদ প্রদান পদ্ধতি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক সংস্থার অ্যাক্রেডিটেশন অর্জন করেছে। এর ফলে বিদেশে বিএসটিআই’র মানসনদের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ১৪৪টি দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য রফতানি হচ্ছে। সম্প্রতি ভারত ২১টি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই ইস্যুকৃত সনদ গ্রহণ করছে। ফলে এসব পণ্য বিনা পরীক্ষায় ভারতের বাজারে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। আরও ৬টি পণ্যের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে সভায় তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!