• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খতমে তারাবির প্রস্তুতি


ধর্মচিন্তা ডেস্ক এপ্রিল ২৩, ২০১৯, ০৯:৪৬ এএম
খতমে তারাবির প্রস্তুতি

ঢাকা: সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান। মাহে রমজানের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ সুন্নাতে সালাতুত তারাবি। রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের বার্তা নিয়ে মুসলিম উম্মাহর দুয়ারে কড়া নাড়ছে পবিত্র রজমান।

প্রতি বছরের মতো এবারও দেশ-বিদেশে লাখ লাখ মসজিদে পড়া হবে খতমে তারাবি। অধিকাংশ মসজিদে এরই মধ্যে নির্ধারণ হয়ে গেছে তারাবির ইমাম। খতমে তারাবির ইমামদের তাই প্রস্তুতির কমতি নেই।

বারবার তেলাওয়াত করে চলেছেন পবিত্র কোরআন, যেন নির্ভুল, সুমধুর ও সুললিত কণ্ঠে তারাবি পড়াতে পারেন।

হাফেজদের নিয়োগ ও পূর্বপ্রস্তুতি:
রমজানে তারাবির জন্য এক থেকে দেড় মাস আগেই হাফেজদের পুর্ব প্রস্তুতি শুরু হয়। যাদের মসজিদ নির্ধারিত হয়নি, তারা মসজিদ ঠিক করার জন্য যোগাযোগ শুরু করেন। যাদের আগে থেকেই মসজিদ ঠিক থাকে তারাও নেন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। তারাবির জন্য হাফেজ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় শাবান মাস থেকেই। তবে অধিকাংশ মসজিদ কর্তৃপক্ষ শবে বরাতের হাফেজ নির্বাচন চূড়ান্ত করেন। কোনো কোনো মসজিদে হাফেজ নিয়োগ দেয়া হয়, রমজানের এক সপ্তাহ আগে। সে হিসেবে যে সব হাফেজদের তারাবির জন্য এখনো মসজিদ ঠিক হয়নি তারা বিভিন্ন মসজিদে ইন্টারভিউ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

চূড়ান্ত নিয়োগ পরবর্তী প্রস্তুতি:
রমজান মাসে হাফেজরা খুব ব্যস্ত সময় কাটান। কিন্তু তারা এ ব্যস্ততাকে আল্লাহর নেয়ামত বলেই মনে করেন। শাবান মাসের ২৯ তারিখ থেকেই হাফেজরা মসজিদে চলে যান। অপেক্ষায় থাকেন নুতন চাঁদের। পবিত্র রমজানের দেখা গেলে শুরু হয় খতমে তারাবি।

রমজানের প্রথম তারাবি থেকেই শুরু হয় হাফেজদের ধারাবাহিক কোরআন তেলাওয়াত। প্রতিদিন নির্ধারিত অংশ ভাগ করে নামাজে তেলাওয়াত করতে হয়। এর আগে নিজেরা তেলাওয়াত করে তা ঝালাই করে নেন। তেলাওয়াতের জন্য হাফেজরা তাদের মতো করে সময় বেছে নেন। তবে বেশিরভাগ হাফেজ সেহরির আগে, সকালে ও জোহরের নামাজের পর কোরআন তেলাওয়াত করে থাকেন। অনেকেই ইফতারের পরেও এ প্রস্তুতি শেষ করেন। অনেকের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও ঘটে।

আসলে রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্তই হাফেজদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই হাফেজরা সামান্য সময়ও অহেতুক ব্যয় করেন না বা করতে পারেন না। খতমে তারাবির ইমামতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে তাদের অত্যন্ত সজাগ থাকতে হয়।

একজন হাফেজ শুধু তারাবির নামাজেরই দায়িত্ব পালন করেন না। তাকে আরো অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। মসজিদের নির্ধারিত ইমামের অনুপস্থিতিতে কখনো কখনো ওয়াক্তিয়া নামাজ পড়াতে হয়। অনেকে মসজিদে ইতেকাফও করেন। এসব দায়িত্ব পালন করার করাণে হাফেজ সাহেবরা সাধারণত পরিবারের সঙ্গে ইফতার ও সাহরি করার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা সকল মুসলিম উম্মাহকে রমজানের বিশেষ ইবাদত তারাবিতে নির্ভুল, সুমধুর ও সুললিত কণ্ঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহুম্মা আমিন।

সোনালীনউজ/ঢাকা/এসআই

Wordbridge School
Link copied!