• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্য হিসাবে নারিকেল তেলের ৭টি বিস্ময়কর উপকারিতা!


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৭, ২০১৬, ০৪:৫৯ পিএম
খাদ্য হিসাবে নারিকেল তেলের ৭টি বিস্ময়কর উপকারিতা!

সোনালীনিউজ ডেস্ক
গবেষক, ডক্টরসহ বাড়ির গৃহিনী- এরকম আরো অনেকেরই ভাষ্য অন্যান্য সব তেলের চাইতে নারকেল তেল নাকি অনেকটাই আলাদা। কারণ এর ভেতরে আছে কিছু অদ্ভূতরকমের ক্ষমতা যা কিনা নানারকম মিরাকল ঘটাতে খুবই কার্যকর।

বিশেষ করে ক্যান্সার, কিডনি পাথর, আর অতিরিক্ত ওজন থেকে দূরে থাকতে নারকেল তেলের কোন জুড়িই নেই। কিন্তু কথাটা কতটা সত্যি? চলুন জেনে নেওয়া যাক। আর এর সাথে সাথে জানা যাক নারকেল তেলের অন্যান্য কিছু উপকারী দিকও।

খাদ্য হিসেবে নারকেল তেলের উপকারিতা গুলো হলো:

শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে না দেওয়া:
নারকেল তেলে থাকে মিডিয়াম চেইন ট্রিগলিসেরাইডস বা এম,সি,টি, যেখানে অন্যসব তেলে থাকে লং চেইন ট্রিগলিসেরাইডস বা এল,সি,টি। মিডিয়াম চেইন ট্রিগলিসেরাইড স্নেহ পদার্থকে অন্ত্র থেকে সরাসরি যকৃতে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে এর বেশিরভাগটাই সেখানেই পুড়িয়ে ফেলে।

অন্যদিকে এল,সি,টি সেই স্নেহ পদার্থগুলোকে জমা করে শরীরের বিভিন্ন অংশে ফ্যাট টিস্যু হিসেবে। ফলে এম,সি,টি হওয়ায় নারকেল তেল শরীরে স্নেহপদার্থ জমতে না দিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং শরীরকে রাখে চর্বিমুক্ত।

হৃদরোগ কমানো:
নারকেল তেল কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয় শরীরে। এটি এল,ডি,এল-এর মাত্রা কমিয়ে শরীরে বাড়িয়ে দেয় এইচ,ডি,এল-এর মাত্রা। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুকি।

ওজন কমাতে সাহায্য করা:
নারকেল তেলের আরেকটি জাদুকরী দিক হলো এটি এক সপ্তাহেই আপনার ওজন কমাতে অত্যন্ত সাহায্য করে থাকে।– বলে থাকেন স্বাস্থ্যগুরু জোসেফ মারকোলা।

নারকেল তেল ওজন কমাতে সাহায্য করে- এটা প্রায়ই বলা হয়ে থাকে। কিন্তু আসলে কি তাই? তিন মাসের একটি গবেষণা চালায় সেন্ট ওঙ্গি এবং ফলাফলে দেখা যায় যেসব মানুষ এই তিন মাসে নারকেল তেল খেয়েছেন, অন্য তেলগ্রহীতাদের চাইতে তাদের ওজন কমেছে চার পাউন্ড বেশী। এম,সি,টির কারণেই এমনটা হয় বলে অনেকের ধারণা।

বয়সের ছাপ দূরীকরণ:
নারকেল তেলের আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে চেহারা থেকে বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করা।

আলঝেইমারের প্রতিরোধ:
সারা বিশ্বে বয়স্কদের জন্যে একটি ভীতিমূলক রোগ হল আলঝেইমার, যেটা কিনা খুব সহজেই কমিয়ে দেয় একজন মানবশরীরের গ্লুকোজ গ্রহণের ক্ষমতা। আর এটা প্রতিরোধ করা সম্ভব একমাত্র শরীরে কেটন এর পরিমান বৃদ্ধি করে। যা কিনা নারকেল তেল সচরাচর করেই থাকে।

ক্যান্ডি তৈরীতে:
ক্যান্ডি! যার নাম শুনলেই জিভে জল আসে ছেলে-বুড়ো সবারই- সেই ক্যান্ডি প্রস্তুতিতেও দরকার হয় নারকেল তেলের। নারকেল তেলের মধ্যে স্নেহ পদার্থ পরিপূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান। প্রায় ৯০%, অন্যদিকে যেখানে সয়াবন আর অলিভ তেলে এর পরিমাণ ১৫%, গরুর মাংসে ৫০%, মাখনে ৬৩%।

আর এজন্যেই নারকেল তেল খুব সহজেই শক্ত হয়ে যায়, জমে যায়। যেটা কিনা ক্যান্ডি প্রস্তুতকারীদের জন্যে সুবিধাজনক। তাই বিভিন্ন ক্যান্ডি প্রস্তুত করতে কারিগরেরা নারকেল তেলকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

ইনফেকশন থেকে বাচাঁতে:
ইনফেকশন, ইনজুরি থেকে বাচঁতে। নারকেল তেলের ৫০% স্নেহ পদার্থই ১২- কার্বন লোরিক এসিড। নারকেল তেল পরিপাক হবার সময় মনোলোরিয়াম নামক এক ধরনের পদার্থ উত্পাদন করে। আর এই দুই পদার্থ এক হয়ে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ইনফেকশন হওয়া থেকে শরীরকে বাচাঁয়।

এছাড়াও একজিমার সমস্যা দূর করতে, শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে এবং হরমোনের উত্পাদন বাড়াতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। সৌন্দর্যবৃদ্ধির উপাদান হিসেবে নারকেল তেলের উপকারিতা আমাদের প্রায় সবারই জানা।

    ১. নারিকেল তেল উদ্বিগ্নতা এবং অস্থিরতা দূর করতে সাহায্য করে।

    ২. চোখের মেক-আপ তুলতে সাহায্য করে।

    ৩. মাতৃত্বজনিত দাগ দূর করতে।

এছাড়া নারকেল তেল ব্যবহার করা যায় লোশন, লিপজেল হিসেবেও। এতসব কাজের বাইরেও নারকেল তেল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয় আরো নানা কাজে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!