• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খালি বাইকে বাড়ি ফিরলেন মিন্নির বাবা


বরগুনা প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০, ০৪:২২ পিএম
খালি বাইকে বাড়ি ফিরলেন মিন্নির বাবা

ছবি: সংগৃহীত

বরগুনা: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যার মামলায় মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।। রায়ে মিন্নিসহ ৬ জনকে ফাঁসি দিয়েছেন। এবং অপর ৪ আসামি খালাস দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

এদিকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামিনে থাকা তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরপরেই মিন্নিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাস মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই মিন্নিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত সবাইকে কারাগারে পাঠানো হবে।

এদিকে বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে মেয়ে মিন্নিকে হোন্ডায় করে আদালতে হাজির হতেন মিন্নির বাবা। আজও সবার আগে মিন্নিকে নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তবে বাড়ি ফেরার সময় খালি হোন্ডায় ফিরতে হয়েছে তাকে। অন্যদিকে রিফাতের বাবা কড়া নিরাপত্তায় দুজন গানম্যান নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

এর আগে মিন্নির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তার মোজম্মেল হক কিশোর বলেছেন, আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সঠিক বিচার পাইনি।

এর আগে সকাল নয়টার দিকে রিফাতের স্ত্রী এ মামলার অন্যতম আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি তার বাবা মোজম্মেল হক কিশোরের মোটরসাইকেলে করে আদালতে উপস্থিত হন। মামলার আসামিদের মধ্যে কেবল তিনিই জামিনে ছিলেন।

গেলো বছরের ১৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে নয়ন বন্ড ও তার বন্ধুরা রিফাত শরীফকে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনও পলাতক।

রায় ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় তিনস্তরের কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তুলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আদালত প্রাঙ্গণ, প্রবেশপথ ও আশপাশের এলাকায় কড়া পুলিশি পাহারা বসানো হয়েছে। আদালতের ভেতরে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। নিরাপত্তাবেষ্টনী অতিক্রম করে আদালতে প্রবেশ করেন বিচারপ্রার্থীসহ সাংবাদিকরা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!