• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অন্যরকম তথ্য দিলেন দুদকের আইনজীবী


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, ১১:৩৩ এএম
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে অন্যরকম তথ্য দিলেন দুদকের আইনজীবী

ঢাকা : দুদকের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আগামী রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

এনিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সর্বাত্মকভাবে আইনি লড়াইয়ে প্রস্তাত রয়েছে। আইনি যুক্তিতে দুদক কাউকে ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী এড. খুরশিদ আলম। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ মামলায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন এড. জয়নুল আবেদীন, কায়সার কামালসহ তার প্যানেল আইনজীবীরা।  দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এড. খুরশীদ আলম।

এড. খুরশিদ আলম বলেন, ১২-১২-২০১৯ থেকে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় বলে আবেদনে জানিয়েছেন তার প্যানেল আইনজীবীরা। ওই দিন অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল রিপোর্ট দেখে তার জামিন আবেদন খারিজ করেন দেন। এবং মেডিকেলের তার অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দেয়ার কথা বলেন। এ ব্যাপারে আগামী রোববার শুনানি হবে। শুনানিতে আমরা আমাদের জবাব দিব। 

দিন ধার্যের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার গুরুতর অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে জামিন চেয়েছি। আশা করছি আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করবেন।

এর আগে, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) খালেদা জিয়ার আইনজীবী সগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর এ মামলায় তার জামিন আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। 

গেল ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের সাত নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান (বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ

একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। 

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ২০১২ সালে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। 

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!