খালেদার প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের দ্বিধাবিভক্ত আদেশ

ঢাকা: তিনটি আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে জ্যেষ্ঠ বিচারপতি প্রার্থিতা বৈধ বললেও কনিষ্ঠ বিচারপতি প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য শুনে হাইকোর্ট বেঞ্চের সিনিয়র বিচারপতি খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন এবং খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না যা জানতে রুল জারি করেন। কিন্তু বেঞ্চের অপর বিচারপতি (কনিষ্ঠ) বিচারপতি খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিল করেন।’

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিন আসনের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে রিট আবেদন করা হয়। 

গতকাল (সোমবার) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ এই আদেশের দিন ধার্য করেন।

দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একাদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ এবং বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে প্রার্থী হন। তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন বিএনপি নেতারা। কিন্তু গত ২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তার কারাদণ্ডের কারণ দেখিয়ে তা বাতিল করে দেন।

এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে তাও ইসিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্তে বাতিল হয়ে যায়। এরপর হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া।

আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

খালেদা জিয়ার বিকল্প হিসেবে বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ লিটন এবং ফেনী-১ আসনে মুন্সী রফিকুল আলমকেও প্রার্থী করা হয়েছে।

আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

খালেদা জিয়ার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৬ আসনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বগুড়া-৭ আসনে মোরশেদ লিটন এবং ফেনী-১ আসনে মুন্সী রফিকুল আলমকেও প্রার্থী রাখা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন