• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুনি না কি জামাই? ফেসবুকে ঝড়...


ফেসবুক থেকে ডেস্ক জানুয়ারি ১৬, ২০১৭, ১০:২২ পিএম
খুনি না কি জামাই? ফেসবুকে ঝড়...

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঝড় উঠেছে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের চুল, চেহেরা ও স্বাস্থ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন করা হচ্ছে। বিশেষ করে খুনের অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি র‍্যাবের চাকরিচ্যুত তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাসুদ রানার চুল, চেহেরা ও স্বাস্থ্য নিয়ে ফেসবুকে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে।

লেখক, কলামিস্ট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল তার ফেসবুকে কর্নেল মাসুদ রানা ও কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের ছবি দিয়ে ‘খুনীর মুখ’ নামের স্ট্যাটাসে লেখেছেন, শফিক রেহমান আমাকে বলেছেন কয়েক মাস জেলে থেকে তার ১০ কেজি ওজন কমে গেছে। মাহমুদুর রহমান জেল থেকে বের হয়েছেন কঙ্কাল হয়ে, মান্না প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে। অথচ নারায়ণগঞ্জের এই খুনীদের কালকের ছবি দেখুন! এরা নাকি জেলে আছে আড়াই বছর ধরে! কি আরামে থাকলে, কি নিশ্চিন্তে থাকলে, এমন তরতাজা আর হাসিখুশী চেহারা হয় মানুষের!

তিনি লেখেন, এখনও কেন যেন বিশ্বাস হয় না ফাঁসি হবে এদের! নারায়ণগঞ্জের এই খুনীর চুল দেখুন ভাল করে। আড়াই বছর ধরে জেলে থেকে সে চুল হাইলাইট বা কালার করার সাহস ও সুযোগ পেল কিভাবে?

রফিক ইমাম ছবিগুলোর স্ট্যাটাসে লেখেন, স্যার-যারা আপনার, বাসায়, অফিসে ও রাস্তায় গাডিতে হামলা করে আপনাকে নাজেহাল বা হত্যা করতে চেয়েছিল। তাদের কারও বিরুদ্ধে যেমন কোন মামলা বা অভিযোগ নেয়নি সরকার। এটাও তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। এর চেয়ে বেশি কিছু না।

হাসনাত মো. রহিম লেখেন, লক্ষীপুরে জেলখানায় বিয়ে, বাসর, ফাঁসি মওকুফ সবইতো হইছে…এরাও একই গোত্রের তাই আশ্চর্য হবার কিছু নাই। এদেশে এখন বিচার নাই, অবিচারের সীমা নাই তবে তা শুধুই বিরুদ্ধ মতের জন্য।

কবির হোসাইন লেখেন, দ্রুত ফাঁসি কার্যকরা হউক, দেশকে কলঙ্কমুক্ত করা হউক, এটাই দেশ বাসির প্রত্যাশা।

তাজু মিয়া লেখেন, শিক্ষিত লোক আপুনি, শফিক রেহমান বলিল আর আপুনি তাই মেনে নিলেন। শফিক রেহমান সাহেবের দেহে ১০ কেজি রক্ত মাংস আছেনি। আর যোদি তাই হয় অবশিষ্ট হাড় ছাড়া আর কিছু কি ছিল?

মো. জহির লেখেন, এদের মুখ দেখে মনে হয় তারা এখন নিজ বাড়ী থেকে শুশুর বাড়ী যাইতে আছে। তাদের ফাঁসির রায় দেওয়া হলো অথচ দেখা যায় তাদেরি মুখে যেই হাসি তাতে বুঝা যায় ফাঁসির রায় দেওয়া তাদের জন্য ভালো হইছে। গৃহপালিত রাসটপ্রতি আছে না তার কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাদের সব মাফ হয়ে যাবে। তারা চাইছে এমন একটা রায়?


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!