• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খেলোয়াড়দের মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য করিয়েছেন কোচ!


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ২১, ২০১৯, ০৯:২৫ পিএম
খেলোয়াড়দের মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য করিয়েছেন কোচ!

ঢাকা: জুনিয়র হকি দলের খেলোয়াড়দের হারের শাস্তি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন কোচ পঙ্কজ আনন্দ। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করল বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে, বিতর্কের মধ্যেই মুখ খুলেছেন তিনজন হকি খেলোয়াড়। তাঁরা বলছেন, হারের পর কোচ তাদের অকথ্য গালিগালাজ করেন। এবং খেলোয়াড়দের মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য করেন। খেলোয়াড়রা বলছেন, ‘কোচ বলেন যাঁরা মাথা ন্যাড়া করবে না তাঁরা দল থেকে বাদ যাবেই, তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও আনা হবে। তাই বাধ্য হয়েই মাথা কামায় খেলোয়াড়রা।’

সেই খবর প্রকাশ হতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তড়িঘড়ি করে বেঙ্গল হকি অ্যাসোসিয়েশন তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। যে কমিটি পুরো ঘটনার তদন্ত করবে। বিওএ-র সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘দ্রুত কমিটি গঠন করা হবে। একটা কথা বলতে পারি, এই ঘটনায় যে দোষী তাঁকে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।’

যাঁকে নিয়ে এত বিতর্ক সেই কোচ পঙ্কজ পুরো ঘটনাটাই অস্বীকার করেছেন, ‘ম্যাচের পর আমি ওদের বকাবকি করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু ন্যাড়া হতে কেন বাধ্য করব? আমি প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা বলব। আমার স্ত্রী এখন হাসপাতালে, তাই ওদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে আমি সত্যিই বুঝতে পারছি না কেন এরকম বলা হচ্ছে।’

এমনিতেই চূড়ান্ত দৈন্যদশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম বাংলার হকি। এই রাজ্যে হকির তেমন চল নেই বললেই চলে। তবু জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ হকিতে বাংলা থেকে দল পাঠানো হয়েছিল জবলপুরে। বাংলা পরপর দুটি ম্যাচ জিতেছিল। প্রথমে হারায় ৪-০ গোলে গুজরাটকে। অন্ধ্রপ্রদেশকে আরও সহজে, ৯-১ গোলে। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলা মুখোমুখি হয় পাঞ্জাবের শক্তিশালি অ্যাকাডেমি দলের। যারা বছরজুড়ে আধুনিক হকিতে শিক্ষিত হওয়ার সব সুযোগ-সুবিধা পায়। সেই ম্যাচে বাংলা হেরে যায় ১-৫ গোলে। এরপরই কোচ খেপে যান খেলোয়াড়দের ওপরে এবং শাস্তিস্বরুপ মাথা ন্যাড়া করাতে বাধ্য করেন।

সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!