• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ


সোনালীনিউজ ডেস্ক ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ০৯:২১ এএম
গণতন্ত্র মুক্তি দিবস আজ

ঢাকা : আজ ৬ ডিসেম্বর, গণতন্ত্র মুক্তি দিবস ও স্বৈরাচার পতন দিবস। ১৯৯০ সালের এই দিনে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণ-আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ।  এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে মুক্তি পায় গণতন্ত্র।

এদিন তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য হন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে  বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী সংগ্রামী দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

তিনি গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯০ সাল পরবর্তী দুই দশকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র, সংবিধান, আইনের শাসন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ করে দেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সপরিবারে জাতির পিতার হত্যার বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। আদালত ২১-এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রদান করেছে (বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের  ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে)। কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।

এ দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জনগণের ভোটে নির্বাচিত বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার তার সামরিক লেবাস বদলে হন ‘গণতন্ত্রী’। কিন্তু দেশের মানুষ তাকে মেনে নেয়নি। তার বিরুদ্ধে লড়াই হয়েছে টানা প্রায় ৯ বছর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ দল, বিএনপির নেতৃত্বে ৭ দল ও বামপন্থীদের নিয়ে গঠিত ৫ দলীয় জোট তীব্র আন্দোলনে নামে।

১৯৯০ সালের নভেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। পরে ছাত্র-গণআন্দোলন আরও বেগবান হয়। ৫ ডিসেম্বর রাতে এরশাদ পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। পরদিন রাজপথে নামে জনতার ঢল। যেন এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার আবেগপ্লুত গোটা জাতি। শুরু হয় গণতন্ত্রের নতুন অভিযাত্রা।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!