• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গরম আসার আগেই লোডশেডিংয়ের কবলে মানুষ!


বিশেষ প্রতিনিধি এপ্রিল ৭, ২০১৮, ০২:১১ পিএম
গরম আসার আগেই লোডশেডিংয়ের কবলে মানুষ!

ঢাকা: গ্রীষ্মকাল শুরুর আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে না আসা এবং সঞ্চালন ও বিতরণ সীমাবদ্ধতাকে বড় বাধা হিসেবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, গরমে পরিস্থিতি সহনীয় রাখতে এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হচ্ছে আড়াই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়েকটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বিদ্যুৎ নেই, তাই সন্ধ্যা নামতেই ভুতুড়ে চিত্র রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায়। এখনো আসেনি গ্রীষ্মের চরম গরম। কিন্তু এরমধ্যেই রাজধানীসহ দেশের নানা জায়গার নিয়মিত দৃশ্য এটি। হরহামেশা বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রভাব পড়ছে মানুষের দৈনন্দিন জীবনেও।

দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ১৩ হাজার মেগাওয়াট হলেও এ যাবতকালের সর্বোচ্চ উৎপাদন ১০ হাজার ৮৪ মেগাওয়াট। আর গড়পড়তা উৎপাদন সাড়ে ৯ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে যাওয়ার আগে সিস্টেম লস হচ্ছে এক হাজার মেগাওয়াটের বেশি।

অথচ বিদ্যুৎ বিভাগের পূর্বাভাসই বলছে, তীব্র গরম, রমজান আর ফুটবল বিশ্বকাপের কারণে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ চাহিদা দাঁড়াবে ১২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে নেয়া উচ্চমূল্যের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবগুলো উৎপাদনে আসতেও সময় লাগবে কমপক্ষে আরো ৪ মাস।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, জরুরী পরিকল্পনা হিসেবে আড়াই হাজার মেগাওয়াট তরল জ্বালানী ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আনার ব্যবস্থা করেছি যেগুলি পর্যায়ক্রমে এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে চলে আসবে।

উৎপাদন ক্ষমতা বাড়লেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. শামসুল আলম বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তো আমরা দেখাচ্ছি। সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তো বাড়েনি। বেসলোড পাওয়ার প্লান্ট তৈরির পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়া জরুরি ছিলো। দশ বছর চলে গেছে সেটা কোন কাজেই আসেনি।

অন্যদিকে, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নতিতে ধীরগতির কারণ হিসেবে আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে তুলে ধরলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, এটা করতে গেলে সময় লাগবে। কারণ, বিশ্বব্যাংকের প্রজেক্ট পড়ে আছে দুই তিনটা। এটার প্রস্তুতি নিতে সময় চলে যাবে দুই তিন বছর।

গত বছরের অসহনীয় লোডশেডিংয়ের পুনরাবৃত্তি এবার ঠেকাতে সরকারের পরিকল্পনার কোনো কমতি ছিল না। কিন্তু কাগজে কলমে নেয়া সেসব পরিকল্পনার সঙ্গে বাস্তবতার তফাৎ থাকায় এবারো বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জের হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/আকন

Wordbridge School
Link copied!