• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গৃহবধুর লাশ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী


নোয়াখালী প্রতিনিধি এপ্রিল ১৯, ২০১৯, ১০:৪০ পিএম
গৃহবধুর লাশ হাসপাতালে রেখে পালালো স্বামী

নোয়াখালী: জেলার কোম্পানীগঞ্জে যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারায় প্রাণ দিতে হলো শারমিন আক্তার রিতু (২০) নামের এক গৃহবধু। পাষণ্ড স্বামী স্ত্রী লাশ হাসপাতালর রেখে পালিয়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ হাসপাতালে থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শ্বশুর আবুল কালাম (৪৪) ও শাশুড়ি আরাধনী বেগম (৪০) কে আটক করা হয়েছে। রিতুর স্বামী মোশারফ হোসেন বাহাদুর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে ।  

জানা গেছে, ২০১৭ সালে চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড চরকালী গ্রামের কামাল মেস্তরীর নতুন বাড়ীর ফখরুল ইসলাম সবুজের মেয়ে শারমিন আক্তার রিতুর (২০) সঙ্গে একই ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওমান প্রবাসী মোশারফ হোসেন বাহাদুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিতুর স্বামী বিভিন্ন অজুহাতে যৌতুক আদায় করে।

এরপর বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে আবারো পিতার বাড়ি থেকে যৌতুক দিতে রিতুকে চাপ দেয়  স্বামী বাহাদুর। এতে তিনি যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় রিতুকে নির্যাতন করে স্বামী বাহাদুরসহ শ্বশুর ও শাশুড়ি।  যার এক পর্যায়ে রিতু জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা রিতুকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সএ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ সময় তারা রিতুর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।

পরে হাসপাতাল থেকে বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে রিতুর লাশ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।        

রিতুর মা তৈয়বের নেছা’র অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে শারমিনের শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে যৌতুকের জন্য রিতুকে চাপ দেয়া হয়। রিতু তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক  নির্যাতন করা হতো। আমরা সামাজিকভাবে এর প্রতিকার চেয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। তাঁর অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে আজ রিতুকে হত্যা করে লাশ কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে তার স্বামী মোশারফ হোসেন বাহাদুর পালিয়ে গেছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, হাসপাতাল সূত্রে সংবাদ পেয়ে আমরা কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রিতুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। তবে রিতুর মায়ের অভিযোগ থাকায় রিতুর শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!