• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গেইলের ব্যাটে রংপুরের হাসি, বিদায়ের পথে মাহমুদউল্লাহরা


ক্রীড়া প্রতিবেদক জানুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৫:২৬ পিএম
গেইলের ব্যাটে রংপুরের হাসি, বিদায়ের পথে মাহমুদউল্লাহরা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: একের পর এক ম্যাচ খেলে নিজেকে চেনাতে পারছিলেন না ক্রিস গেইল। প্রতিটি ম্যাচে শুরুতেই আউট হয়ে ফিরছিলেন। অবশেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ২৫তম ম্যাচে জ্বলে উঠলেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং দৈত্য। তাতে রংপুর রাইডার্সের মুখে হাসি ফুটলেও বিদায় ঘন্টা বেজে গেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের খুলনা টাইটান্সের।

জয়ের জয়ের জন্য ১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ক্রিস গেইল এবং অ্যালেক্স হেলসের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর। ৬ উইকেটের এই জয়ে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। মাত্র ২৫ বলে ৩টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৪১ রান করেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান হার্ডহিটার।  

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ক্রিস গেইল ও অ্যালেক্স হেলসের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় রংপুর রাইডার্স। এই দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটে মাত্র ৭ ওভারেই ৭০ রান তুলে ফেলে দেশের সর্ব উত্তরের দলটি। পাকিস্তানি ইয়াসির শাহর করা অস্টম ওভারের চতুর্থ বলে হেলস সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরলে ৭৮ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙে রংপুরের। তার আগে  ২৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

এরপর ক্রিস গেইলের সঙ্গে যোগ দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাতে আবারও প্রাণ ফিরে পায় গ্যালারি। খুলনার বোলারদের কচুকাটা করে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছোটোত থাকেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। দলীয় ১২১ রানে মাহমুদউল্লাহর শিকার হয়ে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।  

তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করার প্রত্যায় নিয়ে এগোচ্ছিলেন গেইল। তবে দলীয় ১৭১ রানে জুনায়েদ খানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রাইলি রুশো অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন। তিনি মাত্র ৩ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। খলনার হয়ে ইয়াসির শাহ ২টি এবং জুনায়েদ খান ও মাহমুদউল্লাহ ১টি করে উইকেট নেন।  

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে প্রথম ওভারের শেষ বলেই আল আমিনকে (৪) তুলে নিয়ে খুলনাকে ধাক্কা দেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে ফরহাদ রেজা ফেরান জুনায়েদ সিদ্দিকীকে (১৩)।

মাত্র ২৯ রানে টপঅর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান হারালে রানের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছিল খুলনার। পরে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে খেলা ধরেন ব্র্যান্ডন টেইলর। প্রথমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা। ক্রিজে সেট হলে ছোটাতে থাকেন স্ট্রোকের ফুলঝুরি। চেষ্টা করেন দ্রুত রান তোলার। তাতে ঘটে বিপত্তিও। ক্রিস গেইলের বলির পাঁঠা বনেন টেইলর। ফেরার আগে ২০ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন এ জিম্বাবুইয়ান।

টেইলর ফিরলেও রান বাড়ানোর ভিত পেয়ে যায় খুলনা। তাতে এসে জ্বালানি জোগান মাহমুদউল্লাহ। নাজমুল হোসেনের সঙ্গে তুখোড় জুটি গড়ে তোলেন তিনি। দুজনই বইয়ে দিতে থাকেন রানের নহর। রংপুর বোলারদের ওপর চালান স্টিম রোলার। এতে রানের চাকা ঘুরে বনবন করে। তবে হঠাৎই থেমে যান খুলনা অধিনায়ক। ফরহাদ রেজার শিকার হয়ে ২০ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ব্যক্তিগত ২৯ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি নাজমুলও। পরের বলেই কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই রানখরায় ভুগছিলেন এ ব্যাটার। এদিন দুর্দশা কাটিয়েছেন। ফিরেছেন ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে। ৩৫ বলে ২ চারের বিপরীতে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে ৪৮ রান করেন বাঁহাতি ব্যাটার।

১৯তম ওভারে ১৫২ রানে ৬ উইকেট পড়লে শেষ দিকে ঝড়ো গতিতে রান তুলে রংপুরের সামনে বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে দেন ডেভিড উইজ। ১৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন উইজ। তার ব্যাটেই ৬ উইকেটে ১৮১ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা টাইটনস। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন ফরহাদ রেজা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!