• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাটকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি


নিজস্ব প্রতিবেদক জানুয়ারি ২৪, ২০১৯, ০৭:২৮ পিএম
গ্যাটকো মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ৭ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

পুরান ঢাকার আলিয়া মাদরাসায় অবস্থিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলদার এ দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, মামলায় রাষ্ট্র পক্ষ যেসব ডকুমেন্টস আদালতে দাখিল করেছেন, সেগুলোর কপি আমাদের কাছে নেই। সেগুলোর জন্য আমরা আদালতে আবেদন করবো। সে কপিগুলো হাতে পেলে আমরা অভিযোগ গঠন শুনানি করবো। এ জন্য শুনানি পেছানো হোক।

তবে রাষ্ট্র পক্ষে থেকে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, সময়ক্ষেপণের জন্য এগুলো বলা হচ্ছে। মামালটি ১০ বছর ধরে চলছে। এখন আদালতে তারা বলে তাদের কাছে কোনো ডকুমেন্টস নেই।

এদিকে, এই মামলায় আজ জামিনে থাকা দুই আসামি এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও ইসমাইল হোসেন সায়মন আদালতে হাজির না হওয়ায় তাদের আইনজীবীরা জামিন বহাল রাখার আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জারি করেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে অস্থায়ী বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিচারক তার এজলাসে আসেন। শুনানি শুরু হয় ১২টা ৫০ মিনিটে। আদালত কার্যক্রম শেষ হয় ১টা ৩৫ মিনিটে। এরপরেই খালেদা জিয়াকে ১টা ৪০ মিনিটে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের অস্থায়ী বিশেষ আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন খালেদা জিয়াকে আদালতের ভিতরে আসামি ডকেটে বসা নিয়ে আপত্তি করেন। তিনি বলেন, আমি তো কিছুই দেখছি না। আমি তো আপনাকেও (বিচারক) দেখছি না। এই দেয়াল তো এর আগে ছিল না, এখন কোথা থেকে এলো। আমি এখানে থাকবো না। আমি এখান থেকে চলে যাবো।

এরপর খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলের কিছু বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিচারক তাদের শান্ত করে বলেন, বসার জন্য আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন— আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এ জে এম মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ আরও অনেকে।

এর আগে ১০ জানুয়ারি আদালত কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২৪ আসামির মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো মারা গেছেন। মামলাটিতে বর্তমান আসামির সংখ্যা ২০ জন।

অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন— প্রাক্তন মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রাক্তন মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল অ্যাগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, প্রাক্তন মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন । আসামিদের মধ্যে সম্প্রতি এমকে আনোয়ার মারা গেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!