• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রন্থমেলায় সাড়া জাগানো কিছু ইসলামী বই


ধর্মচিন্তা রিপোর্ট ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮, ১২:৫০ পিএম
গ্রন্থমেলায় সাড়া জাগানো কিছু ইসলামী বই

ঢাকা : বাংলাদেশর প্রকাশনাশিল্পের বিরাট একটি অংশ জুড়ে ইসলামী বই। বছরের শুরু থেকে শেস পর্যন্ত প্রায় প্রতি মাসেই কোনো না কোনো প্রকাশনী থেকে ইসলামী বই প্রকাশিক হয় এবং পাঠকের হাতে পৌছে যায়।

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় সময় ইসলামী বইয়ের প্রকাশনা গতি আরো বৃদ্ধি লাভ করে এবং নানান আঙ্গিকের নিত্য প্রয়োচনীয় বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামী বই প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সব বই সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। কিছু কিছু বই প্রকাশের পর থেকে বছরের পর বছর পার ধরে আলোচিত থাকে। ইসলামী প্রকাশনা শিল্পের এমন কিছু আলোচিত-সাড়া জাগানো ইসলামী বই নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

বাংলা ভাষার অনন্য তাফসির গ্রন্থ ‘তাওযীহুল কুরআন’ : একজন মুসলিম হিসেবে সবার আগে শুদ্ধভাবে কুরআন পড়তে শিখতে হবে। এটি খুবই জরুরি। কুরআনের কিছু সুরা মুখস্তও করতে হবে। এগুলো হচ্ছে একজন মুসলমানের প্রাথমিক কাজ। এরপরের কাজ হচ্ছে কুরআন বোঝার চেষ্টা করা। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘হে নবী এটি এক বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি এই জন্য নাজিল করেছি যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহে চিন্তা-ভাবনা করে এবং বোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা-সাদ, আয়াত-২৯)

কুরআন বুঝে পড়তে হলে তাফসির পড়তে হবে। আরবি ভাষায় নাজিল হওয়া কুরআনের বিভিন্ন ভাষার তাফসির রয়েছে। বাংলা ভাষাতেও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলা ভাষায় বহু তাফসির গ্রন্থ রচিত হযেছে এবং সমাদৃত হয়েছে। বাংলাতে যেসব তাফসির গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো কিছু তাফসির বিশদ আকারের আবার কিছু তাফসির গ্রন্থ সংক্ষিপ্ত। বাংলা ভাষায় রচিত সংক্ষিপ্ত তাফসিরের তালিকাতে ‘তাফসিরে তাওযীহুল কুরআন’ অন্যতম। মোট তিন খণ্ডে বাংলায় অনুদিত এই তাফসির গ্রন্থটির মূল রচয়িতা বা লেখক তাকী উসমানী। তিনি ১৯৪৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন।

সরাসরি মূল লেখকের হাতে লেখা অনুমতি নিয়ে বাংলা ভাষায় গ্রন্থটি প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মাকতাবাতুল আশরাফের স্বত্বাধিকারী মাওলানা হাবীবুর রহমান খান। প্রথম খণ্ডটি ৬৯২ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত হয়েছে। মুদ্রিত মূল্য ৬৭০ টাকা। দ্বিতীয় খণ্ডটি ৬০৮ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত হয়েছে। মুদ্রিত মূল্য ৬৭০ টাকা। তৃতীয় খণ্ডটি ৬৪০ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত হয়েছে। মুদ্রিত মূল্য ৭৯০ টাকা।

তিন খণ্ড একসঙ্গে ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় রয়েছে। তাফসির গ্রন্থটির প্রথম খণ্ডে সুরা ফাতেহা থেকে সুরা তাওবা, দ্বিতীয় খণ্ডে সুরা ইউনুস থেকে সুরা আনকাবুত এবং তৃতীয় খণ্ডে সুরা রুম থেকে সুরা নাস পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পবিত্র কুরআনের ১১৪টি সুরার সহজ তরজমা ও তাফসির অনূদিত হয়েছে। কুরআন শুদ্ধ করে পড়তে শেখার পর সহজে বাংলা ভাষা কুরআন বুঝে অধ্যয়ন করার জন্য খুবই সহায়ক একটি গ্রন্থ এই তাফসিরে তাওযীহুল কুরআন। বাংলা ভাষার এই গ্রন্থটি একটি অনন্য তাফসির গ্রন্থ। এটি কুরআন কারিমের সহজ তরজমা ও তাফসির। নারী-পুরুষ, ছেলে-বুড়ো সবারই এই গ্রন্থটি পড়া উচিত।

গ্রন্থটি বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেছেন মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম। ২০১৫ সালে প্রথম এই তাফসির গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। বর্তমানে সংশোধিত চতুর্থ মুদ্রণ বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তাফসিরে তাওযীহুল কুরআন গ্রন্থটির প্রকাশনা, বাঁধাই এবং সার্বিক উপস্থাপনার ক্ষেত্রে মাকতাবাতুল আশরাফ তাদের স্লোগানকে (আভিজাত মুদ্রণ ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান) শত ভাগ সত্য বলে প্রমাণ করেছে। বইটি প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল আশরাফ। ইসলামী টাওয়ার, দোকান নম্বর ৫১১, বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০। বইটি ক্রয় করতে চাইলে ফোন করুন ০১৭১২ ৮৯৫৭৮৫ এই নাম্বারে।

রাসূলে (সা.) জীবনীগ্রন্থ- মুহাম্মাদ (সা.) ব্যক্তি ও নবী : পবিত্র কুরআনে রাসূলুল্লাহ (সা.)কে ভালোবাসা, তাঁকে অনুসরণ করা, উত্তম আদর্শ হিসেবে বলা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবন, যে জীবন ইসলামের জন্য রক্ত, ঘাম, ক্ষুধা সবই সহ্য করেছে আর চিরস্থায়ী শাস্তি থেকে বাঁচতে ও কল্যাণের পথে চলার নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছে সে জীবনকে তথা সীরাত জানা অতিব গুরুত্বপূর্ণ। সালাফগণ তাঁদের সন্তানদের পবিত্র কুরআনুল কারীম শিক্ষার মতোই গুরুত্ব দিয়ে সীরাহ শিক্ষা দিতেন। তাঁদের মন-মানস এমন মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠতো যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষায় থাকতো ভরপুর।

বক্ষ্যমাণ এই গ্রন্থটি মূলত শামায়েল যা সীরাতের একটি অংশ। শামায়েল সাধারণত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৈহিক ও গাঠনিক বৈশিষ্ট্য, তাঁর ব্যবহৃত পোশাক, আসবাবপত্র, হাসি, কান্না, রসিকতা, বিনয়, মহানুভবতা, সাহসিকতা, ক্ষমা, মমতা ইত্যাদি নিয়ে আলোচিত হয়। এই গ্রন্থটি এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম।

লেখক বইটি দশটি অধ্যায়ে ভাগ করেছেন। প্রথম অধ্যায়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বংশ, পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের পরিচয় আলোচনা করা হয়েছে। এতে স্থান পেয়েছে রাসূলুল্লাহ (সা.) পিতা হিসেবে কেমন ছিলেন, স্বামী হিসেবে কেমন ছিলেন ইত্যাদি। দ্বিতীয় অধ্যায়ে নবীজীর বৈশিষ্ট্য ও গঠন। তাঁর অবয়ব, অবয়বের সৌন্দর্য, প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, হাঁটাচলা, হাসি, কথাবলার ধরণ এসব। তৃতীয় অধ্যায়ে নবীজীর নৈতিকতা ও চরিত্র আলোচনা করা হয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন সমস্ত কল্যাণ তাঁর মধ্যে একত্র করেছিলেন। লেখক বাইশটি আলাদা পরিচ্ছেদে বিশদভাবে তা আলোচনা করেছেন।

সচ্চরিত্রের নীতিমালা তাঁর মহান চরিত্র ও নির্দেশনার আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। চতুর্থ অধ্যায়ে অসচ্চরিত্র থেকে পবিত্র থাকার জন্যে করণীয় কর্ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পঞ্চম অধ্যায়ে নবীজীর আদব ও সৌজন্যতা আলোচনা করা হয়েছে। ষষ্ঠ অধ্যায়ে পার্থিব প্রয়োজন সম্পাদনে রাসূলুল্লাহ (সা.) কেমন ছিলেন, তা। সপ্তম অধ্যায়ে সতর্ককারী হিসেবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কিছু নির্দেশনা যা প্রবৃত্তি, শয়তান, দাজ্জাল, জাহান্নাম ইত্যাদি থেকে একজন মুমিনকে বাঁচিয়ে জান্নাতের পথের অগ্রপথিক হিসেবে পথ দেখাবে। অষ্টম অধ্যায়ে নবীজীর ইবাদতের কিছু দিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। নবম অধ্যায়ে নবীজীর প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থার বাস্তব অবস্থা ও পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা, উন্নত করার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিক্ষা আলোচিত হয়েছে। দশম অধ্যায়ে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ‘হক’ আদায়ে আমাদের করনীয় ও কিছু নির্দেশনা।

বইটির আলোচ্যবিষয়ের অবিনব দিক হচ্ছে অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা। শামায়েলে মূলত বাহ্যিক দিক প্রধান্য পায় ও আলোচিত হয়। লেখক অভ্যন্তরীণ গুণ ও দোষগুলো যা সচ্চরিত্র ও অসচ্চরিত্রের মানদন্ড বা মাপকাঠি হিসেবে আমরা জানি তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো এমন কিছু নির্দেশ দিতেন না যা তিনি পালন করেন না আবার এমন কিছু করতে বলেননি যা তিনি করতেন। এসব এমন বিষয় যা একজন নবীর জন্যে শোভা পায় না। তাই অভ্যন্তরীণ এই দিকগুলো যা ইখলাস, সত্যবাদীতা, ইহসান, আমনতদারি, বিনয়, ক্ষমা, হিংসা, প্রতারণা ইত্যাদি নামে আমরা চিনি তা লেখক শামায়েলের অন্তর্ভুক্ত করেছেন ও রাসূলুল্লাহর শিক্ষার আলোকে আলোচনা করেছেন। কোথাও অস্পষ্টতা থাকলে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এসব গুণাবলী অর্জন ও বর্জনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এভাবেই একসময় দেখা যায় বইটি শুধু শামায়িল নয়, ফিকহুশ শামায়েল হয়ে গেছে। যা রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে তো অবগত করবেই সঙ্গে এথেকে শিক্ষা নিয়ে তা কীভাবে আমরা নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করবো সেই শিক্ষাও দিবে।

সর্বোপরি খুবই উপকারী গ্রন্থ মনে হয়েছে। বইটির মূল লেখক : সালেহ আহমদ শামী। অনুবাদক : মাওলানা মানযূরুল হক। প্রকাশনায় : আকিক পাবলিকেশন্স। মুদ্রিত মূল্য : ৫০০ টাকা। পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪৬২।

ব্যাংকিং ও আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ইসলামি রূপরেখা : ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা দিন দিন বিস্তার লাভ করে চলছে। ব্যবসার নিত্য-নতুন প্রক্রিয়া-পদ্ধতিও উদ্ভাবিত হচ্ছে অহরহ। ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কর্মকাণ্ড ব্যাপকতা লাভ করেও এর সুফল যেভাবে বিস্তার লাভ করা দরকার ছিল, সেভাবে করতে পারছে না। ক্ষেত্রবিশেষে এক শ্রেণীর লোক ধনী থেকে ধনকুবের হচ্ছে, আরেক শ্রেণির মানুষ দরিদ্রতর হচ্ছে। অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের নতুন ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ায় জড়িত হয়ে গরিব লোকজন সুদ দিতে দিতে আরও নাজুক অবস্থায় পড়েন।

ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা মৌলিকভাবে কল্যাণকর হলেও এর বিভিন্ন পদ্ধতিতে রয়েছে সুদের বিচরণ। এ সুদ সম্পর্কে কুরআন-হাদিসে অনেক নিষেধাজ্ঞা ও ধমক রয়েছে। যারা সুদি কারবারে জড়িত থাকে, কুরআন-হাদিসে লানত করা হয়েছে তাদের ওপর, তাদের জন্য পরকালীন শাস্তি অবধারিত। সুদমুক্ত ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা দেশ ও জাতি যত দিন অবলম্বন করবে না, ততদিন তারা সমগ্রিক সফলতা ও বহুমুখী কল্যণ অর্জন থেকে বঞ্চিত হবে।

সুদমুক্ত ব্যবসা-বাণিজ্যের ইসলামসম্মত পদ্ধতি না জানার কারণে আমাদের মধ্যে অনেকে সুদি কারবারে জড়িত হয়ে যায়। কিন্তু এই ঘাটতি পূরণে সহায়ক হবে ব্যাংকিং ও আধুনিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ইসলামি রূপরেখা বইটি।

বাজারে এ ধরনের অনেক বই থাকলেও ব্যবসা-বাণিজ্য ও ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় রেফারেন্সসহ উপস্থাপনা করা হয়েছে এমন বই খুব একটা চোখে পড়ে না। সুতরাং আপনারা যারা ব্যবসা-বাণিজ্য ও ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য এই বইটি খুবই উপকারী। বইটি লিখেছেন ড. মুহাম্মদ ইরান আশরাফ ওসমানি। তিনি মুফতি তকি উসমানির সুযোগ্য সন্তান। বাংলা ভাষাতে বইটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা মুহাম্মাদ ছলিমুল ওয়াহেদ। তিনি ঢাকার জামিয়া বাইতুল আমান মাদরাসায় ভাইস প্রিন্সিপাল ও সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গুরুত্বপূর্ণ বইটি সম্পাদনা করেছেন মুফতি আমীমুল ইহসান।

২০০৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় বইটি। এরপর ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় সংস্করণ। বইটির মূল্য ২২০ টাকা। এর প্রচ্ছদ বা কভার ডিজাইন করা হয়েছে প্রিন্ট মিডিয়া নামক প্রতিষ্ঠান থেকে। বইটি পরিবেশক হিসেবে মাদানী কুতুবখানার নাম প্রদান করা রয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের নাম বইটিতে নেই। শুধু প্রকাশক হিসেবে মুফতি মুহাম্মাদ জামালুদ্দিন নামটি দেওয়া রয়েছে। পুরান ঢাকার বাংলা বাজারে অবস্থিত ৩৭, নর্থব্রুক হল রোডে (বিশাল বুক কমপ্লেক্স) মাদানী কুতুবখানার অফিস। আগ্রহীদের কেউ বইটি ক্রয় করেত চাইলে কল করুন ০১৭৩৩০২০৬৭৫৭ এই নম্বরে।

জীবনসঙ্গী নিয়ে ইসলামি বই ‘বিয়ে’ : মানব সমাজের শুরু থেকে অদ্যাবধি একত্রে বসবাস করার জন্য ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী স্বীকৃতি জরুরি। এই স্বীকৃতিকে আমরা বিবাহ, নিকাহ বা ম্যারেজ বলে থাকি বা জানি। লেখিকা রেহনুমা বিনতে আনিস তার ‘বিয়ে’ গ্রন্থটিদে উল্লেখ করেছেন, বিয়ে বা বিবাহ কেবল দুজন ব্যক্তির একত্রে বসবাস নয়, বরং দুটি পরিবার ও গোষ্ঠীর সম্পর্কের নির্ণায়কও।

মূলত বিয়ে নামক সামাজিক বন্ধনের প্ল্যাটফর্মটিকে ধর্মীয় অনুশাসনের রেখা দিয়ে বিচারের একটি চেষ্টা ‘বিয়ে’ গ্রন্থটিতে খুঁজে পাওয়া যায়। বইটির শুরুর প্রবন্ধ ‘প্যাকেট না প্রোডাক্ট’, যেখানে লেখক মানুষের বাহ্যিক ও ভেতরের মূল্যবোধের নির্বাচনমূলক স্থুলতার সূক্ষতর দৃষ্টিভঙ্গির শ্রেণিভেদ তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়েছেন।

পবিত্র কুরআনের রেফারেন্স টেনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন- তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পারিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।’  (সুরা আর-রুম, আয়াত-২১)। এ ছাড়া নারী-পুরুষের পর্দার বিষয়টিও বইটিতে উল্লেখিত হয়েছে এবং সেখানেও পবিত্র কুরআনের মুরা আন-নুরের ৩০-৩১ আয়াতের উক্তিগুলোকে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।  

গ্রন্থটির শিরোনাম বিয়ে হলেও, নানা প্রবন্ধে মানুষের একত্রে বসবাস করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় গুরুত্ব বহন করে, তার অলোচনা উঠে এসেছে। একটি প্রবন্ধে লেখিকা বলেছেন, বিয়ে নিয়ে তাঁর ধারণা ছিল সিন্দ্রেলা ধরনের গল্পের মত।

কর্মজীবী নারীদের ঘরে ফিরে এসে স্বামীকে একান্ত করে না পাওয়া, শাশুড়ি-ননদের কটূক্তি সহ্যাতীত হয়ে পথ হারানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ এবং সমাজে চলমান বাস্তব কথাগুলো গ্রন্থটিতে উঠে এসেছে। এ ক্ষেত্রেও লেখিকার বয়ান হলো, বিয়ে করার ক্ষেত্রে আবেগের বশবর্তী না হয়ে মহান আল্লাহর কাছে চাওয়া আর বুঝে-শুনে অগ্রসর হওয়াটাই জরুরি।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীর প্রতি বৈষম্যের তুলনাটা চোখে পড়ার মতো এবং লেখিকা রেহনুমা বিনতে আনিস জীবনবোধের সূক্ষতর দিকগুলোকে বেশ স্পষ্টভাবেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন। সন্তানের নামের বিষয়টিকেও তিনি তালিকাভুক্ত করেছেন। মেয়েসন্তানের ক্ষেত্রে তিনি দেখেছেন মেয়ে বড় হয়ে অন্যত্র চলে যাবে, ভেবে জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের নাম থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়।  অথচ ছেলেসন্তানের ক্ষেত্রে নামের শেষে বাবার নামের যোগসূত্র থাকে।

এমন আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও পারিবারিক অবহেলাগুলোকে তুলে ধরেছেন লেখক। ইসলামের আলোকে সুন্দর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। মোট ২২টি প্রবন্ধ রয়েছে বইটিতে। প্রতিটি প্রবন্ধেই সমাজব্যবস্থার বাস্তব রূপের সঙ্গে ইসলামের দিক-নিদের্শনার চমৎকার সন্ধি ঘটিয়েছেন লেখক। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন, ঠিকানা : ৩৪, নর্থব্রক হল রোড, (দ্বিতীয় তলা), বাংলা বাজার, ঢাকা-১১০০।  মোবাইল- ০১৭১০-১৯৭৫৫৮। ১৫৮ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য দেওয়া আছে ২৫০ টাকা।  

নারীদের বই তুমি সেই রাজা তুমি সেই রানী : দাম্পত্য- জীবনের মূল সংবিধানটা কী, মূলত তাই বলে দেয়া হয়েছে গল্পের ভাষায়... উন্নত সাহিত্যে শৈলী'র আবেগপ্লাবিত ধারায়। যে সংবিধান পড়লে এবং মানলে দাম্পত্য-জীবন আমূল বদলে যাবে, প্রাপ্তি ও ফলাফল আবার নতুন হয়ে যাবে। উষর প্রাণহীন মরু বদলে যাবে উচ্ছল ঝরনাধারায়। জীবনকে যদি আচ্ছন্ন ও মেঘলা করে রাখে যদি ছোট ছোট দুঃখকণা, সেগুলিও বদলে যাবে সুখ-আনন্দের মহাকাব্যগাথায়... ভোর না হতে চাওয়া দুঃসহ কালো রাতগুলি ও হয়ে যাবে 'সে-ই ফেলে আসা আনন্দঘন... মধুময়।

আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন...বিয়ে হলো নবীদের সুন্নত ও আদর্শ। বিবাহ কোন শাস্তি নয়। মানব রচিত কোনো নিপীড়নমূলক আইনও নয়, এ এক ইবাদাত। আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের একটি মাধ্যম। ঈমান পরিপূর্ণ করার একটি পথ। আল্লাহ পাকের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার সেতু-বন্ধন।

লেখক বুঝাতে চেয়েছেন, যদি বিবাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার কোন রাস্তা খোলা থাকতো, তাহলে এই উম্মতের নারী জাতির সবচেয়ে বেশি হকদার আয়েশা, ফাতেমা, খাদিজা ( রা.) এরাই তো এই পথে যেতেন। যেহেতু তাঁদের যখন সেই পথে চলতে হয়েছে, অন্যান্য নারীদের ও চলতে হবে। একটু ভেবে দেখি তো? আমরা আজ কার অনুসরণ করে ধন্য হচ্ছি? কার সাথে মিল খুঁজে পাচ্ছি? বিবাহের পরই তো হযরত আয়েশা (রা.) পৌঁছে গেছেন সম্মান ও মর্যাদার শ্রেষ্ঠ আসনে। হয়ে গেছেন উম্মতের মা। নারী জাতির আদর্শ, আমাদের মাথার মুকুট, আমাদের গর্ব ও অহংকার। ছোট্ট একটু কথা দিয়ে লেখক এই দুই দলের উদাহরণ দিয়েছেন...

যেভাবে বর্ণনা করেছেন, দুই মুসাফির। একটু পরেই যাত্রা হবে এক দূর্গম সফরের উদ্দেশ্যে। একজন 'গাইড বুক' খরিদ করে সেখানকার ভৌগলিক অবস্থান, মৌসুম, আবহাওয়া সেখানকার ভাষা মোটামুটি অনেক কিছুই জেনে নিলো। আরেকজন, অন্যের কাছে দারস্থ হওয়া কে অপমান করে সে বললো, আমার সফর আমি করবো, যেদিকে চাইবো সেদিকে যাবো, কাকে আবার কী জিজ্ঞেস করবো? দ্বিতীয় মুসাফিরের মতোই একদল নারী আছেন আমাদের সমাজে, যাদের কারণে প্রতিদিন উদ্বেগজনক হারে তালাক ও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটছে যা সবারই জানা।

বিদায়ের আগে বলে যাচ্ছি, আপনি যদি ‘বর’ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি হচ্ছেন সেই রাজা, সেই আদর্শ স্বামী। আর যদি 'বধূ' হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ই সেই রানী, আদর্শ স্ত্রী। ভবিষ্যত বরবধূর জন্য একই রকম প্রয়োজনীয়। তাই সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি। বইটির লেখক : মাওলানা আবদুল মাজেদ দরিয়াবাদী। অনুবাদ : ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী। প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার। পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৭৯। মুদ্রিত মূল্য : ১০০/-।

সমাজে প্রচলিত ভুলের সঙ্কলন গ্রন্থ- প্রচলিত ভুল : আমাদের সমাজের অলিতে গলিতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে জড়িয়ে আছে নানা কুসংস্কার, এবাদতের নাম করে ভুল হাদিস, মাসায়ালা, বিভিন্ন মনগড়া কিচ্ছা-কাহিনী। একটা সসময় ধারনা ছিল, শিক্ষিত হলেই বুঝি কুসংস্কার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এই চরম অসত্য ফুটে ওঠে যখন এই সম্পর্কিত কিতাবের পাতাগুলো উলটে দেখি। মূলত উত্তর পাথারের আইলে পথ বেয়ে দক্ষিন পাথারে পৌছনো সম্ভব নয়। এই কিতাবটা পড়তে গিয়ে যে কতগুলো বিষয় আমার মনে হয়েছে, আরে এটাতো আমি পালন করি, এটাতো আমি বিশ্বাস করি। অথচ, একটা বিদ'আত-ই যথেষ্ট দ্বীন থেকে ফারেগ হওয়ার জন্যে। দ্বীন মানতে হলে, দ্বীনি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করাটাই আবশ্যক।

মা শা আল্লাহ। অত্যন্ত উপকারী একটি কিতাব। প্রতিটা বিষয় আলাদাভাবে হাইলাইট করে, সহজবোধ্য ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে।

কতিপয় ভূল বিশ্বাস : ১। বিনা ওযুতে আব্দুল কাদের জিলানীর নাম মুখে নিলে শরীর থেকে পশম ঝরে পড়ে। ২।রাতের বেলায় ঝুটা পানি বাহিরে ফেলা কুলক্ষুণে। ৩। পরকালে লাইলি-মজনুর বিয়ে হবে। ৪। ক্বুরবানী দিতে অক্ষম ব্যক্তি হাস-মুরগী ক্বুর'বানী দিলেই হবে। ৫। মৃত বুজুর্গের রূহ দুনিয়ায় ঘুরে।

কিছু কথা যা হাদিস মনে করা হয় (তবে তা হাদিস নয়) : ১। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত হাদিস অন্বেষণ কর। ২। যার কোনো পির নেই তার পির শয়তান। ৩। আলেমের চেয়ারার দিকে তাকানো সওয়াব। ৪। মসজিদে (দুনিয়াবি) কথা বার্তা নেকিকে এমন ভাবে খতম করে, যেমন আগুন কাঠকে জ্বালিয়ে ভষ্ম করে দেয়। ৫। আহারের শুরু ও শেষ লবন দিয়ে করা। ৬। প্রতিদিনের তারাবীর ভিন্ন ভিন্ন ফজিলত রয়েছে। ৭। ওযুতে প্রত্যেক অঙ্গ ধুয়ার জন্য আলাদা দুয়া। ৮। শায়েখের মর্যাদা তার অনুশারীদের মধ্যে তেমনি যেমন, নবীর মর্যাদা তার উম্মতের মধ্যে। ৯। জ্ঞান অর্জনের জন্যে প্রয়জনে চীন দেশে যাও। ১০। আঠারো হাজার মাখলুকাত।

ভূল ধারনা : ১। তারাবীহ পড়তে না পারলে রোজাও হবে না। ২। মনগড়া ভাবে কোনো মসজিদকে বিশেষ ফজিলতের মনে করা। ৩। ৭৮৬, বিসমিল্লাহ্ এর বিকল্প মনে করা। ৪। ইস্তেখারার জন্যে ঘুমানো। ৫। খাওয়ার পরে বরতন ধুয়ে খাওয়া, মুখমন্ডলে ও পায়ের তালুতে হাত মোছা, সুন্নত মনে করা।

এছাড়াও বইটিতে রয়েছে ইতিহাসের ভুল : ১. আবু জাহেলকে অনেকেই রসূল (সল্লাল লহু আ'লাইহি ওয়া সল্লাম) এর (আপন) চাচা মনে করে থাকেন, এটা ভূল। তবে তিনিও কোরাইশ বংশের ছিলেন। কুসংস্কার : রাতে সুই বিক্রি করা অশুভ মনে করা। নামাযের মধ্যে ভুল মনে মনে কীরাত পড়া। ভূল শব্দ : অকাল মৃত্যু। (যার হায়াত যে পর্যন্ত, সে সেই পর্যন্তই বাচবে। আর এটাতো আল্লাহর নির্দেশেই হয়ে থাকে।) আল্লাহ সুব্হান ওয়া তা'লা আমাদেরকে সরল ও সঠিক পথে চলার তৌফিক দ্বান করুন, আমাদেরকে উপকারী ই'লম দ্বান করুন এবং যাবতীয় ভূলভ্রান্তি হতে হেফাজত করে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্ট লাভ করার তৌফিক দ্বান করুন। আমিন। বইটির লিখেছেন মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক। প্রকাশনা : আমীনুত তালীম, মারকাজুদ দাওয়া আল-ইসলামিয়া ঢাকা। পৃষ্ঠা :  ২১৫। মুদ্রিত মূল্য : ২০০/- মাত্র।

সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন  : ছোট শিশুরাও ৫ জন ক্রিকেটারের নাম বলতে পারে। কিন্তু সাহাবা/সাহাবী শব্দ টা হয়ত শুনেই নি। এভাবেই কি চলতে থাকবে মুসলিমদের জীবনচক্র। ছোট শিশুদের কথা বাদ দিলাম,আমরা কয়জন জানি সাহাবীদের জীবন সম্পর্কে। যা জানি তা ত ভাসা ভাসা, মিথ্যা, আংশি, গোঁজামিলে ভরা। অথচ ক্রিকেটার,নায়িকা,গায়িকাদের নাড়ির খবর,হাড়ির খবর আমাদের মুখস্ত। আল্লাহ মাফ করুন। আল্লাহর কাছে আমাদের জবাব কি হবে? মুসলিম উম্মাহর সেরা জেনারেশন হলেন সাহাবীরা। দুনিয়ার ইতিহাসের সবচে সেরা, সবচে সফল, সবচে সাহসী, সবচে সুন্দর, সবচে তাকওয়াবান,সবচে সেক্রিফাইস করা, সবচে আল্লাহর প্রিয় ছিলেন সাহাবারা।

কথায় কথায় আমরা বলি রাসূলের পথে, সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে চলবো। কিন্তু কিভাবে? সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে যারা আমদের অনুপ্রেরণা, পথিকৃৎ, তাদের সম্পর্কে কি আমাদের কিছুই জানতে হবে না।

আমরা সামান্য কিছু কিনতে চাইলেও ত অভিজ্ঞদের জিজ্ঞেস করি। আর যেখানে আল্লাহ আমাদের সাথে ওয়াদা করেছেন,মহা সুসংবাদ জান্নাতের। সেই জান্নাত আবার বিনিময় হবে জীবন ও সম্পদ দিয়ে। ত আমাদের কি প্রয়োজন নেই, আল্লাহ কে খুশি করে সবচে ভালো উপায়ে বিনিময় করে জান্নাত পাওয়া মহান বক্তিদের নিয়ে একটু জানাশোনা করা।

খুলাফায়ে রাশেদা- সবচে উত্তম শাসন ব্যবস্থা ত দুনিয়ার বুকে সাহাবাদের দিয়েই রাসূল শিখিয়েছেন। তাই মুসলিম হয়ে শুধু টিকে থাকাই নয়, বরং সম্মানের সাথে জীবন পরিচালনার জন্য আসুন সাহাবী দের সম্পর্কে একটু জানি। বইটির প্রতিটি পাতায়, প্রতি পরতে পরতে, ছত্রে ছত্রে, যে মধু, রত্ন, হারানো সোনালি সময় লুকিয়ে আছে তা না পড়লে আমি বুঝাতে পারব না ফিলিং টা কি। চলে যাবেন সাহাবীদের যুগে। এই ত আল্লাহর রাসূলের কাছে বসে আছেন।

সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন- এই বই টি আমাদের সেই জানার পথে হতে পারে একটি মাইল ফলক। বই টির রাইটার ড. আবদুর রহমান রাফাত পাশা একজন বিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ ইসলামি স্কলার। সিরিয়াতে জন্ম নেয়া এই মহান শায়খ পড়াশুনা করেছেন, মিশরের আল আজহার ও কায়রো ইউনিভারসিটিতে।

শিক্ষকতা করেছেন দামেস্ক ইউনিভারসিটি ও সৌদি আরবের ঈমাম মুহাম্মদ ইবনে সউদ ইউনিভারসিটি তে। শিক্ষা ও গবেষণা এবং গবেষকদের গবেষণ ত্ত্ত্বাবধান করে কেটে গেছে শায়খের জীবনের পুরোটা সময়। ওই বিষয়ে লিখতে গেলে আরেক টি পোস্ট দিতে হবে। শায়খ আজ দুনিয়াতে নেই। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন। আমিন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!