• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রাহকদের পকেট কাটছে ‘বিকাশ’


বিশেষ প্রতিনিধি জুন ২৬, ২০১৮, ০৪:৫৬ পিএম
গ্রাহকদের পকেট কাটছে ‘বিকাশ’

ঢাকা : মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে দেশের সব পর্যায়ে টাকা লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিচিত বিকাশ। কার্যক্রম শুরুর পর গ্রাহক সংখ্যা ও লেনদেনের পরিমাণ বাড়লেও সার্ভিস চার্জ কমায়নি প্রতিষ্ঠানটি।

এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ গ্রাহকদের। বাজার ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহকদের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও সার্ভিস চার্জ নির্দিষ্ট করে দেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে এখন পর্যন্ত বিকাশসহ ১৮টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। প্রতিদিন এ মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে হাজার কোটিরও বেশি টাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণে লেনদেন হয়ে থাকে বিকাশের মাধ্যমে।

শহর ছাড়াও গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে বিকাশ সহজ মাধ্যম হলেও বিপরীতে রয়েছে অভিযোগের ভরা কলসি। ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, এত বছর পরেও কেন কমছে না চার্জের পরিমাণ।

সেবাগ্রহীতারা বলছেন, এখন তো কোটি কোটি টাকা ট্রানজেকশন হচ্ছে, বিকাশের এখন ফি আরো কমানো উচিত।

টাকা লেনদেনে বিকাশ কর্তৃক নির্দিস্ট পরিমাণ চার্জ বেধে দেয়া হলেও নেই কোনো পর্যবেক্ষণ। এতে প্রতি হাজার ক্যাশ আউটে সাড়ে ১৮ টাকার পরিবর্তে গ্রাহকদের কাছ থেকে এজেন্টরা নিচ্ছে ২০ টাকা।

এজেন্টদের একজন বলেন, ‘আমরা প্রতি হাজারে ২০ টাকা করে নেই শুরু থেকেই। শুরু থেকেই এভাবেই চলছে।’

সাধারণ ব্যাংকিং-এ ৫ হাজার টাকা পাঠাতে যেখানে ২০ টাকা চার্জ। সেখানে বিকাশে ব্যয় হয় ৫ গুণ, অর্থাৎ একশ টাকা।

অর্থনীতিবদিরা বলছেন, গ্রাহকদের সচেতনতার পাশাপাশি চার্জ নির্ধারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের থাকতে হবে কঠোর নির্দেশনা।

অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বলেন, গ্রাহকের তো স্বাধীনতা থাকবেই। গ্রাহক ব্যাংকের কাছে যাবে। একটা রেঞ্জ যদি বাংলাদেশ ব্যাংক তৈরি করে দেয় তাহলে সবাই একটা ডিসিপ্লিনের মধ্যে চলে আসবে।

দেশের প্রান্তিক জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের লক্ষ্যসহ লেনদেন সহজ করতে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হলেও বিকাশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রাসী ভূমিকায় বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র লেনদেনকারীরা।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!