• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
দুই সিটি নির্বাচন

ঘরের কোন্দল বড় দুই দলে


বিশেষ প্রতিনিধি জানুয়ারি ৪, ২০২০, ০৯:৫৫ পিএম
ঘরের কোন্দল বড় দুই দলে

ঢাকা : ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে মূলত বড় দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি। এছাড়া জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশটা দুই দলের প্রার্থীদের ঘিরেই হবে।

ইতোমধ্যে দল মনোনীত মেয়র ও দলসমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে। মনোনয়ন দাখিল, নির্বাচন কমিশনের বাছাই পর্ব শেষ। বাকি রয়েছে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও ভোট। প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন।

পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে প্রার্থীদের আমলনামায় চোখ রাখছেন সাধারণ ভোটাররা। তবে এখনো প্রস্তুত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। মেয়র হিসেবে একক প্রার্থী দিতে পেরেছে।

কিন্তু কাউন্সিলর পদে একক প্রার্থিতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল বিরাজ করছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বেলায় কোন্দলটা বেশি না হলেও বিরোধের চরমটা দেখা যাচ্ছে বিএনপির বেলায়।

আওয়ামী লীগের সূত্রমতে, সদ্য গঠিত বিভিন্ন কমিটি গঠন নিয়ে পদের যে প্রতিযোগিতা ছিল, তার প্রভাব পড়তে পারে সিটি নির্বাচনে।

অন্যদিকে ত্যাগের অবমূল্যায়ন, মনোনয়ন বাণিজ্য আর মেয়র প্রার্থীদের নিজস্ব বলয় গড়ে ওঠার কারণে দ্বিগ্বিদিগ হয়ে পড়েছে বিএনপি।

দলটির মেয়র প্রার্থী একদিকে তো কাউন্সিলর প্রার্থী আরেকদিকে, কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতায় জয়ের আশায় গুড়েবালি হতে পারে বলে খোদ নেতা-কর্মীদেরই শঙ্কা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ১৮টি। আর দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড ২৫টি। ঢাকা উত্তর সিটির মোট ভোটার ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ও দক্ষিণে ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ জন।

নির্বাচন কমিশন গত ২২ ডিসেম্বর ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র জমা এবং মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ছিল গতকাল ২ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জানুয়ারি। আর ভোট গ্রহণ ৩০ জানুয়ারি।

আওয়ামী লীগ : ঢাকার জোড়া সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভেতরের দ্বন্দ্ব নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হিসেবে দলের মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের দ্বন্দ্ব যেমন প্রকাশ্য হচ্ছে, তেমনই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অভ্যন্তরীণ কোন্দলও কোথাও কোথাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।

কেন্দ্রীয় নেতাসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের নিজেদের মধ্যকার কোন্দলের প্রভাব দলীয় প্রার্থীর, বিশেষ করে কয়েক কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোটের বাক্সে বেশি পড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে সদ্য ঠাঁই পাওয়া এক নেতা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হওয়া কয়েক নেতার মধ্যে রাজধানীতে দলীয় রাজনীতিতে যে কোন্দল ছিল, এর রেশও দলীয় প্রার্থীদের ভোটের মাঠে গড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

ডিএনসিসিতে মেয়র পদে প্রার্থী আতিকুল ইসলাম প্রবল দ্বন্দ্বের মুখোমুখি না হলেও দক্ষিণের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী মাঠে দলীয় দ্বন্দ্বের আশঙ্কা এখনো উড়িয়ে দিচ্ছেন না ক্ষমতাসীন দলের নীতিনির্ধারকরা। তাপসকে নিয়ে ঢাকা দক্ষিণের রাজনীতিতে কোনো বিতর্ক না থাকলেও ডিএসসিসির মেয়র প্রার্থী পদে গতবারের মতো এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ইতোমধ্যে ‘নাখোশ’ সাঈদ খোকন।

দলীয় প্রার্থী তাপসকে সমর্থন করবেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে খোকন কোন্দলেরই জানান দিয়েছেন বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কয়েক নেতা।

নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগে নেতাদের দ্বন্দ্ব নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রের উদ্যোগ ও নির্দেশে দ্বন্দ্ব ভুলে জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মেয়র পদে প্রার্থী তাসপের জয়ের লক্ষ্যে সবাই কাজ করবে বলেও আশাবাদী শীর্ষ নেতৃত্ব।

তবে সাঈদ খোকনের সমর্থন পাবেন বলে আশা করেন ব্যারিস্টার তাপস।

তিনি বলেন, ‘আশা করি উনি (সাঈদ খোকন) আমাকে সমর্থন করবেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা উন্নত বাংলাদেশের জন্য কাজ করে চলেছেন। উন্নত বাংলাদেশের জন্য একটি উন্নত রাজধানীর প্রয়োজন। সেই উন্নত রাজধানী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করব।’

তিনি দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সিটি নির্বাচনে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজ বাসভবনে স্বেচ্ছাবন্দি থেকে অনেকটা একাই সময় কাটাচ্ছেন ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন। এর আগে দলীয় মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হয়ে তিনি দলের জ্যেষ্ঠ ও প্রভাবশালী কয়েক নেতার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান বলে ব্যাপক অভিযোগ আছে।

তার সঙ্গে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাসহ কেন্দ্রীয় কয়েক নেতা। এর জেরে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার আজিমপুরের পার্ল হারবাল কমিউনিটি সেন্টারসংলগ্ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশের পাশেই সাঈদ খোকন পাল্টা কর্মসূচি দেন।

পরে ওই সমাবেশস্থলের সামনে ট্রাকে করে সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার ঘটনায় মেয়রকেই দোষারোপ করেন দলের কেন্দ্রীয় কয়েক নেতা। যারা সেদিন খোকনকে দোষারোপ করেন দলীয় কর্মসূচি স্থলের সামনে ময়লার ট্রাক রাখার জন্য, তাদের সমর্থন এবার শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রতি। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়েই তাপস নির্বাচনে কমিশনে (ইসি) নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গত ৩০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া আবু আহমেদ মান্নাফী প্রকাশ্যে সাঈদ খোকনের অনুসারী বলে নেতাকর্মীদের অভিযোগ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মেয়র খোকনের মধ্যে দ্বন্দ্বে আবু আহমেদ মান্নাফী খোকনের পক্ষ নেন বলে মুরাদ অভিযোগ করেন গণমাধ্যমের কাছে।

২০১৭ সালের ১ নভেম্বর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহে আলম  মুরাদ ও  আবু আহমেদ মান্নাফীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। মান্নাফী এবার তাপসের সমর্থনেই শেষ পর্যন্ত মাঠে নামতে পারেন বলে বলাবলি হলেও তা এখনো নিশ্চিত নন নেতাকর্মীরা।

ডিএসসিসির নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম। তিনি মনোনয়ন পাননি। পুরান ঢাকা এলাকায় তারও আছে দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক বলয়। তার অনুসারীরা তাপসের পক্ষে মাঠে নামবেন কি না- এ বিষয়েও নেতাকর্মীরা এখনো পরিষ্কার নন।

বিএনপি : আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ত্রিমুখী দ্বন্দ্বে বিএনপি। বিশেষ করে কাউন্সিলর ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে।

দল সমর্থিত দুই মেয়র প্রার্থীর টার্গেট, দলের কেন্দ্র্রীয় নেতাদের স্বজনপ্রীতি প্রতিষ্ঠিত করা এবং মহানগরের নেতাদের প্রত্যাশা- এই তিন চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে বিস্তর ফারাক দেখা দিয়েছে।

দলসমর্থিত প্রার্থী থাকার পরও বিদ্রোহী হিসেবে মাঠ অনেক প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। টিকেছেন বাছাইয়েও। বাহ্যিক দৃষ্টিতে পরিবেশ অনুকূলে মনে হলেও আখেরে দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারে বলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সোজাসাপ্টা বিশ্লেষণ।    

এদিকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসন করতে না পারলে প্রত্যাশার ফসল যেতে পারে প্রতিপক্ষের ঘরে। বিএনপির ঢাকার দুই সিটি উদ্ধারের আশা পরিণত হতে পারে দূর আশায়।

প্রার্থী বাছাই কমিটির সমন্বয়ক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজাহান এ প্রতিবেদককে বলেন, কাউন্সিলগুলোতে দল সমর্থন দিয়েছে। স্বল্প সময়ে বাছাইয়ের পরও আরো যোগ্য, জনপ্রিয় প্রার্থী থাকতেই পারে। তবে আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে তা বিবেচনায় আনার চেষ্টা করা হবে। দু-চারটিতে পরিবর্তন আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।

বিএনপি গঠিত বাছাই কমিটি দুই সিটির জন্য প্রার্থী বাছাই করে দলের স্থায়ী কমিটির কাছে হস্তান্তর করে। পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পরপরই দলের অভ্যন্তরে নানামুখী সমালোচনার ঝড় ওঠে। শীর্ষ ও সিনিয়র নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন বঞ্চিতরা। দলসমর্থিত প্রার্থীর বিপরীতে দুই সিটিতে প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করে।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, উত্তর সিটিতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আওয়াল। গত নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন তিনি। ভোটের দিন মাঝপথে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। তখন থেকেই বিএনপির পরবর্তী প্রার্থী তাবিথ আওয়ালই। দীর্ঘ ৫ বছরে তাবিথ ভোটযুদ্ধে বিজয়ী হতে কিছু কাউন্সিলরকে দেখভাল করতেন। তাবিথকে ঘিরে ৫৪টি ওয়ার্ডে কিছু নেতা নিজেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে প্রস্তুত করেছিলেন। তাদের কিছু ব্যক্তি দলের সমর্থন পেয়েছেন। কিছু সংখ্যক প্রার্থী দলীয় সমর্থনের বাইরেই প্রার্থী হয়েছেন। তাতে সায় আছে তাবিথ আওয়ালের।

এদিকে দলের কেন্দ্রীয় এবং সিনিয়র একাধিক নেতা তাদের আশীর্বাদপুষ্ট কিছু ব্যক্তিকে সমর্থন দিয়েছেন দলের তাদেরও একটি অংশ মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছে।

অন্যদিকে মহানগর উত্তরে বিএনপির রাজনীতিতে যারা ত্যাগ স্বীকার করে, নির্যাতন ও হামলা-মামলা মোকাবেলা করে ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তুলছেন, তাদের একাংশ বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন।

একই চিত্র ৭৫ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও। এই সিটিতে বিএনপির প্রার্থী খোকাপুত্র ইশরাক হোসেন। অবিভক্ত সিটির সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকাকে ঘিরে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন শতাধিক নেতা। তাদের কেউ সাবেক কাউন্সিলর আবার কেউ সম্ভাব্য হিসেবে ছিলেন। তাদের অনেকেই এবার প্রার্থী হয়েছেন ঠিকই তবে দলীয় সমর্থন পাননি। তবে নির্বাচন থেকে বিরত থাকেননি। বহাল আছেন প্রার্থী হিসেবে। এ ওয়ার্ডেও কেন্দ্রীয় নেতাদের আশীর্বাদপুষ্ট প্রার্থী রয়েছে।

দুই সিটিতেই প্রায় একই ধরনের সমস্যা বিরাজমান। দৃশ্যত তিনটি ধারায় বিভক্ত থাকায় ভোটার, নেতাকর্মী এবং সমর্থকও ত্রি-ধারায় বিভাজিত। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার শুরু না হলেও বিভক্ত রেখা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।         

একক করতে বিদ্রোহীদের ডাকা হবে : ঢাকার দুই সিটির প্রায় সব ওয়ার্ডেই বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সবুজবাগ থানা বিএনপির সভাপতি মো. গোলাম হোসেনকে সমর্থন দেয়। কিন্তু দলের সমর্থন না পেয়ে এ ওয়ার্ডে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে থানা বিএনপি নেতা মো. মোরসালিন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

জানতে চাইলে মো. মোরসালিন এ প্রতিবেদককে বলেন, বিগত সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। দল মূল্যায়ন করবে, এ আশায় আমি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করি। কিন্তু কাউন্সিলর পদে আমাকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়নি। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব।

১০ নম্বর ওয়ার্ডে দল সমর্থন দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশীদকে।

বিএনপির সমর্থন না পেলেও এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন মতিঝিল থানা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন।

তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তিনি বলেন, আমি দলের সমর্থন পাইনি। কিন্তু নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অনুরোধে আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করব।

দলীয় সমর্থন পাওয়া হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ নির্বাচন করলে তা দলীয় শৃঙ্খলা-পরিপন্থী হিসেবে বিবেচিত হবে। বিষয়টি হাইকমান্ড গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে।

এদিকে দক্ষিণের মতো উত্তরেও অনেক ওয়ার্ডে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। ৩নং ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে হাজী আবু তৈয়বকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়।

কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে এ ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পল্লবী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বুলবুল মল্লিক। ১১নং ওয়ার্ডে সাবেক কমিশনার শামীম পারভেজকে এবার দলীয় সমর্থন দেওয়া হয়।

কিন্তু ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেনও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, দল থেকে আমাকে সমর্থন দেয়নি, তবু মনোনয়ন জমা দিয়েছি। দল তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে বলে আশা করি। শেষ পর্যন্ত দল যে সিদ্ধান্ত নেয়, তা আমি মেনে নেব।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!