• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাতকের ভয়ানক বর্ণনায় পাঠাও চালককে হতার ঘটনা


আদালত প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯, ০৮:৫৩ এএম
ঘাতকের ভয়ানক বর্ণনায় পাঠাও চালককে হতার ঘটনা

ঢাকা: রাজধানীর মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলায় পাঠাও চালক মিলন হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ঘাতক নুর উদ্দিন সুমনের স্বীকারোক্তিতে উঠে এসেছে সেদিনের সেই ভয়ানক ঘটনার কথা। ঘাতকের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে।

ঘাতক জানান, মিলন ঘটনার রাতে ১০০ টাকার একটি ট্রিপ নিয়ে মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় এসেছিলেন। সেখানে যাত্রীকে নামিয়ে দিয়ে আবুল হোটেলের সামনে আসেন। সেখানেই তার সঙ্গে দেখা হয় ঘাতক নুর উদ্দিন সুমনের। সুমন তখন ৫০ টাকা চুক্তিতে গুলিস্তান নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সদরঘাটে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে হবে ভেবে মিলন ৫০ টাকায় গুলিস্তান যেতে রাজি হয়ে যান। আবুল হোটেলের সামনে দিয়ে ফ্লাইওভারে উঠে মালিবাগ পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছাকাছি আসার পর নুর উদ্দিন একটি দিয়াশলাই ফেলে দিয়ে মিলনকে বলে মোটরসাইকেল থামান সিগারেট ধরাবো দিয়াশলাইটা নিচে পড়ে গেছে। মিলন তখন মোটরসাইকেল থামান।

আর নুর উদ্দিন পড়ে যাওয়া দিয়াশলাই মাটি থেকে তুলে নিজে মোটরসাইকেল চালানোর প্রস্তাব দেয় মিলনকে। কিন্তু মিলন তাতে রাজি হননি। এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটিকাটি শুরু হয়। থাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সুযোগ বুঝে সুমন তার সঙ্গে থাকা অ্যান্টিকাটার দিয়ে মিলনের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে জখম অবস্থায় ফ্লাইওভারে রেখে মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে চলে যান।

ছিনতাইকারী তার গলায় ছুরিকাঘাত করে মোটর সাইকেলটি নিয়ে পালিয়ে গেলে জখম গলা চেপে ফ্লাইওভারের শান্তিনগর অংশে নেমে আসেন মিলন। এরপর পুলিশের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।

প্রসঙ্গত গত ২৬শে আগস্ট মালিবাগ ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলায় গলাকেটে হত্যা করা হয় পাঠাও চালক মিলন মিয়াকে। এসময় ঘাতক তার কাছে থাকা মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যায়। এসময় মিলনের গলা দিয়ে অঝোর ধারায় রক্ত ঝরছিলো। তখন ভুক্তভোগী মিলন তার গলার ক্ষতস্থান হাত দিয়ে চেপে ধরে শান্তিনগর ফ্লাইওভারের ঢাল দিয়ে নামছিলেন। পরে দুজন পথচারি তাকে উদ্ধার করে পল্টন থানার টহল পুলিশের কাছে নিয়ে যান। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!