• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলার প্রাচীন রাজধানী

ঘুরে আসুন অপরূপ সুন্দর সোনারগাঁ জাদুঘর


ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানুয়ারি ২২, ২০২০, ০৮:৩১ পিএম
ঘুরে আসুন অপরূপ সুন্দর সোনারগাঁ জাদুঘর

ময়মনসিংহ : আপনিও ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন বাংলার প্রাচীন রাজধানী অপূর্ব সুন্দর সোনারগাঁও জাদুঘর।

আমরা মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ময়মনসিংহের ফুলপুর এক্সিলেন্ট স্কুল অ্যান্ড মাদরাসার ছাত্রদের নিয়ে গিয়েছিলাম। ভোর পৌনে ৫টায় রওনা করে পৌঁছেছিলাম সকাল সোয়া ১১টায়। বিকাল সাড়ে ৪টায় সেখান থেকে রওনা করে প্রতিষ্ঠানে ফিরে এসেছি রাত ১১টায়। যাওয়ার পথে মাওলানা মুজিবুর রহমান সুন্নাতী হুজুরের নয়াপুর মাদরাসায় নাশতা করেছি। তারা আমাদের অনেক আদর আপ্যায়ন করেছেন।

আসার পথে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে পারতলার নুরুল আমিন ও হালুয়াঘাটের শহিদুল ইসলামের সাথে দেখা হয়। তারাও আপ্যায়ন করেছেন। কাঞ্চন ব্রিজে এসে ফলফলাদি দিয়ে গেছেন আমাদের আদরের ছাত্র মোড়াপাড়া ডিগ্রি কলেজের ভিপি সাইফুল ইসলাম তুহিনের ছোটভাই হাফেজ আশরাফুল ইসলাম তাওহীদ। এছাড়া ভালুকা সিড স্টোর জামে মসজিদসহ অনেক কিছু দেখা হয়েছে। ওখানে পরিবেশ অনেক ভাল।

জাদুঘরে প্রাচীন রাজা বাদশাদের ব্যবহৃত খাট পালং, পালকি, কাঠের সিন্দুক, কুমির, বানর, সিংহ, কাঠের জিরাফ, ময়ূর, হাতি, গরুর গাড়ি, বিভিন্ন রকমের মূর্তি ও বেত দিয়ে নির্মিত রিকশা, ভ্যান, চেয়ার, কাসা ও তামার জিনিসপত্রসহ অনেক কিছু। রয়েছে রঙ বেরঙের দোকানপাট, বড় পুকুরে নৌকায় চড়ার সুবিধা, নাগরদোলা, দোলনা, কৃত্রিম বাঘ, রাজহাঁস ও পশুপাখিসহ ঐতিহ্যবাহী অনেক দালান কোটা। দেখলে মন জুড়ায়।

শুধু আমরা নয় দেশ বিদেশ থেকে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আসছে এগুলো দেখতে। শীত উপলক্ষে তখন মেলা বসছিল। মেলায় ছিল হরেক রকমের দোকানপাট। দেখে সবাই মুগ্ধ। কেনাকাটাও করেছে অনেকে। জাদুঘর থেকে বের হয়ে অল্প একটু দূরেই পানাম সিটি। সেখান থেকেও ঘুরে আসলাম। দেখে আসলাম অনেক পুরান বিল্ডিং। যা ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তবে এগুলো ঐতিহাসিক কীর্তির স্বাক্ষ্য বহন করছে। এসব দেখে আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি। খরচ বেশি না। আমাদের বাস ভাড়া নিয়েছিল সাড়ে ১৪ হাজার টাকা। আর খানা হিসেবে বিরানী ও সকালের নাশতা হিসেবে ভূনা খিচুড়ি আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে রান্না করে নিয়ে নিয়েছিলাম।

প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম পরে গেলে বিশেষ ছাড় রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্যাডে আবেদন করতে হয়। এতে ছাত্রদের প্রবেশ ফি নেয় জনপ্রতি ৩০ টাকা আর শিক্ষক ও অভিভাবকদের ৫০ টাকা।

আমরা তা পেয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। সবাই খুব খুশি। অবসরে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, সোনারগাঁও।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!