• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘোষণা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট


খুলনা প্রতিনিধি নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০১:০১ পিএম
ঘোষণা ছাড়াই অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট

খুলনা: কোনও ধরনের ঘোষণা ছাড়াই নতুন সড়ক আইনের কিছু বিধান সংশোধনের দাবিতে খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে বাসচালক ও শ্রমিকরা। 

সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে ধর্মঘটের কারণে এ অঞ্চলে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

খুলনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মো. নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, মূলত রবিবার থেকেই বাসচালকরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। তবে, সেটা ছিল আংশিক। সোমবার থেকে সব বাসচালকই নিজ নিজ দায়িত্ব থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে শ্রমিক ইউনিয়ন বা মালিক সমিতির কোনও আহ্বান নেই।

তিনি আরও বলেন, রোববার সকাল ১১টায় ঝিনাইদহে মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন ফেডারেশনের একটি বৈঠক ছিল। সেখানে সব মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠক শুরুর আগে থেকেই চালকরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। বৈঠকে ফেডারেশনের নেতারা ২২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় চাইলে সব বেসিক শ্রমিক ইউনিয়ন তা প্রত্যাখ্যান করে। ফলে সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।

নুরুল ইসলাম বেবী বলেন, মোটর শ্রমিকরা সড়ক পরিবহন নিয়ে তৈরি নতুন আইনকে শ্রদ্ধা জানায়। কিন্তু এ আইনের কতিপয় ধারা ও বিধান সরাসরি মালিক ও শ্রমিকদের ওপর আঘাত করছে। সেগুলো সংশোধন করার দাবিতে চালকরা এ ধর্মঘট পালন করছে। এরমধ্যে গাড়ির চালকদের জন্য করা জরিমানার বিধান, বাণিজ্যিক ছোট ছোট গাড়ি নিয়ে করা বিধান, আইনে জামিন না দেওয়ার বিধান, মালিকদের ওপর আরোপিত জরিমানার বিধান সংশোধন করার দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের সেক্রেটারি জানান, রোববার থেকে কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পর যশোর থেকে ১৮টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। মূলত নতুন সড়ক আইন কার্যকরের ঘোষণার পর থেকে স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি শুরু করে চালক ও শ্রমিকরা। তাদের দাবি, নতুন আইনে যে শাস্তি ও জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা মেনে কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য যশোর থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। চালক ও শ্রমিকদের দাবি, এ কালো আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।
নড়াইল প্রতিনিধি জানিয়েছেন, নতুন সড়ক আইনের সংশোধনের দাবিতে নড়াইলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকেই নড়াইল-যশোর, কালনা-নড়াইল-খুলনা, নড়াইল-লোহাগড়া-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ পাঁচ রুটে কোনও ঘোষণা ছাড়া বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে শ্রমিকরা।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়াইল জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছাদেক আহম্মেদ খান বলেন, ‘বাস বন্ধ রাখার ব্যাপারে সংগঠন থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলাপ না করে বাসচালক-শ্রমিকরা স্বেচ্ছায় নড়াইল থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনা, যশোর, ঢাকাসহ পাঁচ রুটে বাস চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কোনও কোনও রুটে দু-একটি বাস চলছে।

পরিবহন শ্রমিক নেতাদের দাবি, আইন সংশোধনের পর এটি বাস্তবায়ন করা হোক। এটা না করা পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

এদিকে হঠাৎ করেই বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন। তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নছিমন, করিমন ও ইজিবাইক যোগে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

সোনালীনিউজ/এইচএন

Wordbridge School
Link copied!