• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চতুর্থ বাঙালি হিসেবে নোবেল পেলেন অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়


আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ১৪, ২০১৯, ০৮:২৮ পিএম
চতুর্থ বাঙালি হিসেবে নোবেল পেলেন অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়

ঢাকা : এ বছর অর্থনীতিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী তিনজনের একজন অভিজিৎ ব্যানার্জি, যিনি  অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হলেন। অন্য দুজন হলেন অভিজিতের স্ত্রী ফরাসি নাগরিক অ্যাস্থার ডাফলো এবং মার্কিন নাগরিক মাইকেল ক্রেমার।

সোমবার (১৪) বিকাল সাড়ে ৩টায় রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস এ পুরস্কার ঘোষণা করে।

উন্নয়ন অর্থনীতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এবার এই তিন অর্থনীতিবিদকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। সম্মানী হিসেবে তারা পাবেন ১১ লাখ মার্কিন ডলার।

বিশ্বের দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর অর্থনীতিতে অভিজিতের সঙ্গে তার স্ত্রী আস্থার ডাফলো ও আমেরিকান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ক্রেমারও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। জন্মগতভাবে বাঙালি হলেও অভিজিৎ এখন আমেরিকার নাগরিক।

অভিজিতের পুরো নাম অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। ১৯৬১ সালে ভারতের কলকাতাতে তার জন্ম। অভিজিতের বাবা দীপক ব্যানার্জি ছিলেন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক এবং তার মা নির্মলা ব্যানার্জিও ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা এর অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক।

তিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে লেখাপড়া করেন, যেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

১৯৮৮ সালে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডে ভর্তি হন। অর্থনীতিতে পিএইচডি নিতে তার থিসিস এর বিষয়টি ছিলো "এসেস ইন ইনফরমেশন ইকোনমিকস"।

আমেরিকান নাগরিক অভিজিৎ বর্তমানে এমআইটির ফুর্ড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের একজন আন্তর্জাতিক অধ্যাপকও। অভিজিৎ ব্যানার্জি, আব্দুল লতিফ জামিল পুভার্টি অ্যাকশন ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং কনসোর্টিয়াম অন ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেমস অ্যান্ড পোভার্টি এর একজন সদস্যও।

এছাড়াও তিনি অর্থনীতি বিশ্লেষণ ও উন্নয়ন বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট, সেন্টার ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ, কিইল ইনস্টিটিউট, আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস এন্ড সায়েন্স এবং ইকোনমিক সোসাইটির সম্মানিত ফেলো। এছাড়াও তিনি পুর ইকোনমিকস এর একজন সহকারী লেখকও।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!