• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চবিতে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী


চবি প্রতিনিধি নভেম্বর ১১, ২০১৯, ০৯:২০ এএম
চবিতে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শুক্কুর আলম নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী রিফাতের বিরুদ্ধে।  মারধরের শিকার শুক্কুর আলম দর্শন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অন্যদিকে মারধরকারী মোরশেদুল আলম রিফাত ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের কর্মী বলে জানা গেছে।  

রোববার (১০ নভেম্বর) রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের নুর আলম স্টোরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবন্ধী শুক্কুরকে চবি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে রাত নয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে বিক্ষোভ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা।  পরে প্রক্টরিয়াল বডির ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে তারা।  

ভুক্তভোগী শুক্কুর আলম জানায়, পরেরদিন পরীক্ষা থাকায় রাতে জন্য খাওয়ার কিনতে আমি দোকানে যাই। আমার হাতের কনুই লাগায় এক ছেলে আমার পেটে চিমটি দিয়ে বলে সোজা হয়ে দাঁড়াতে।

আমি বললাম কিভাবে সোজা হয়ে দাঁড়ায় আমি ত জানিনা।  এরপর বলে আমাকে চিনোস, সিনিয়রের সঙ্গে বেয়াদবের মত কথা বলিস।  এরপর আমার গায়ে পেছন থেকে লাথি মারে আর কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দেয়।  বিষয়টি প্রক্টর স্যারকে জানানো দরকার বললে সে আমার মুখে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে।  এ সময় পাশে থাকা আমার এক অতিথিকেও মারধর করা হয়। তিনি আরো বলেন, গত ৭-৮ মাস আগে চোখের সমস্যার কারণে অপারেশন করা হয়।  আমার অপারেশনের বাম চোখে সে মেরেছে।  চোখে সানগ্লাস লাগানো ছিল, মারের কারণে সেটাও কোথায় পড়ে গেছে।  ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দিয়েও অভিযুক্ত রিফাতের নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।  

বিজয় পক্ষের নেতা এস এম জাহেদুল আওয়াল বলেন, বিষয়টি আমি পুরোপুরি জানিনা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রিফাতের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চবি চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. শুভাশীষ চৌধুরী বলেন, চোখের আশেপাশে কোন আঘাত লাগলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে।  এতে চোখের বিশেষ প্রেশার উঠানামা করলে ব্যাথা বাড়ে।  আমরা প্রাথমিকভাবে ব্যাথার ঔষধ দিয়েছি, চোখ স্পর্শকাতর হওয়াতে চোখের চিকিৎসক ছাড়া কোন ধরণের ড্রপ ব্যবহার করা সম্ভব না।  ব্যাথা না কমলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রেরণ করা হবে।  

বিষয়টি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হানিফ মিয়া বলেন, বিষয়টি খুবই অমানবিক। আমরা মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি।  আগামীকাল প্রক্টর অফিসে এসে লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা রয়েছে, এরপর যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সোনালীনিউজ/এএস

Wordbridge School
Link copied!