• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

‘চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি’


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১১, ২০১৮, ০৬:৪০ পিএম
‘চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি’

ফাইল ফটো

ঢাকা: বাসার সামনে আইনশৃংখলা বাহিনীর ঘুরাঘুরিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস বলেছেন, সোমবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে আমার বাসার সামনে কখনো সাদা পোশাকে লোকজন, আবার কখনো পুলিশের পোশাক পড়া লোকজন ঘুরঘুর করছে। এমবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। শুধু তাই নয় আমি আতঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর শাহজাহানপুরের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আত্মীয়-স্বজন, নেতাকর্মী কেউ আমার বাসায় আসতে পারছে না। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকার ২০-২৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নির্বাচনী প্রচারে নানাভাবে বাধা দেয়ারও অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী উন্মুক্তভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। অথচ আমাকে প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমি নিজেও নিরাপত্তাহীনতায় আছি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমার মতো আমার স্ত্রীর সঙ্গেও এমন আচরণ করা হচ্ছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে কারো প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিক আছে, কিন্তু আমরা তো কারো প্রতিপক্ষ না। তাহলে কেনো আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে।

বিএনপি ভোটে থাকুক সরকার তা চায় না এমন অভিযোগ করে মির্জা আবাস বলেন, নির্বাচন কমিশন এমনকি সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছিলো তফসিল ঘোষণার পর কোনো মামলা ও গ্রেপ্তার হবে না। কিন্তু তফসিলের পরও আমার এলাকার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৫০টি গায়েবি মামলা করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার নেতাকর্মীকে। গ্রেফতার করা হয়েছে ২০০ জন কর্মীকে। বর্তমানে আমার ৩ হাজার কর্মী জেলে রয়েছে।

এ ছাড়াও গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, পুলিশ কেন আমার সঙ্গে বিরুদ্ধ আচরণ করছে আমি বুঝতে পারছি না। বিএনপির সময় পুলিশ যত সুবিধা পেয়েছে সেগুলো আমি দিয়েছি। বর্তমান পুলিশ কমপ্লেক্সের জমিটাও আমি নিয়ে দিয়েছি। এসময় তিনি পুলিশকে সরকারি কর্মচারী হয়ে আওয়ামী লীগের কর্মচারী না হওয়ার অনুরোধ করেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন মির্জা আব্বাস।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!