• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন নীতিমালা


বিনোদন প্রতিবেদক অক্টোবর ২২, ২০১৯, ০৭:১৩ পিএম
চলচ্চিত্র নির্মাণের নতুন নীতিমালা

ঢাকা : চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যয় কমাতে কঠোর হয়েছে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। সংগঠনটির সঙ্গে পরিচালক সমিতি ও এফডিসির অন্যান্য সংগঠন একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

চলচ্চিত্রের ‘মাদার অর্গানাইজেশন’ প্রযোজক সমিতি মনে করে, চলচ্চিত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা ও অনিয়ম রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে নির্মূল করার জন্য নতুন নীতিমালার বিকল্প নেই। তাই প্রণয়ন হয়েছে নতুন নীতিমালা।

নতুন নীতিমালা প্রণয়ন প্রসঙ্গে সোমবার (২১ অক্টোবর) এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। সেখানে প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি পদে কামাল মো. কিবরিয়া লিপু, সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে আলিমুল্লাহ খোকন, কোষাধ্যক্ষ পদে মেহেদী হাসান সিদ্দিকী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ইলা জাহান উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, উপ-মহাসচিব শাহীন সুমন, সাংগঠনিক সচিব কবিরুল ইসলাম রানা (অপূর্ব রানা) প্রমুখ। নতুন নীতিমালা পাঠ করে শোনান প্রযোজক কিবরিয়া লিপু।

চলচ্চিত্রের নির্মাণে নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন সকাল ১০ টায় অবশ্যই ক্যামেরা ওপেন (শুটিং শুরু) করতে হবে, চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। এরমধ্যে যোহরের নামাজ ও দুপুরের খাবারের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে। কোনো শিল্পী কিংবা কুশলী যদি সময় মতো শুটিং সেটে না আসেন, তার জন্য যদি শুটিং শুরু না হয় এবং আর্থিক ক্ষতি হয় সেই দায়-দায়িত্ব দেরিতে আসা শিল্পী বা কুশলীকে বহন করতে হবে। শিল্পী আসার পরেও সময়মতো শুটিং শুরু করতে না পারলে তার দায় নিতে হবে পরিচালককে। শুটিংয়ে কল টাইম থাকবে সকাল ৮টায়। তবে শিল্পীদের প্রয়োজনে কল টাইম নির্ধারণ করে দিবেন পরিচালক। শিল্পী ও কুশলীদের অবশ্যই প্রযোজকের সঙ্গে চুক্তিস্বাক্ষর করতে হবে। চুক্তির সময় প্রথম কিস্তি ২৫ শতাংশ, পরবর্তী কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে বাকি ৭৫ শতাংশ পারিশ্রমিক পরিশোধ করা হবে। মোট তিন কিস্তিতে পারিশ্রমিক পরিশোধ করা যাবে। কোনোভাবেই এককালীন পারিশ্রমিক প্রদান গ্রহণযোগ্য হবে না। এক লাখ টাকার উপরে যাদের পারিশ্রমিক তারা কোনো প্রকার কনভেন্স (যাতায়াত ভাতা) পাবেন না। যেসব কলাকুশলী দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করে পারিশ্রমিক পান, তারা আউটডোরেও সেই পরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন। আউটডোরে শুটিং চলাকালীন সহকারী পরিচালক ও সহকারী চিত্রগ্রাহকরা কনভেন্সের অর্ধেক হাতখরচ পাবেন।

ড্রেসের জন্য কোনো শিল্পীকে আলাদা কোনো টাকা দেওয়া হবে না। গল্পের প্রয়োজনে শিল্পীদের ড্রেস প্রোডাকশন থেকে তৈরি হবে, শুটিং শেষে সব ড্রেস শিল্পীকে প্রোডাকশনের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনো ড্রেস কোনো শিল্পীর পছন্দ হলে সেটা ক্রয়মূল্য দিয়ে শিল্পী শুটিং শেষে নিতে পারবেন।

চলচ্চিত্র মুক্তির আগে প্রমোশনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ (প্রধান) শিল্পীদের কমপক্ষে পাঁচ দিন শিডিউল দিতে হবে। নায়ক, নায়িকা, ভিলেন (প্রধান চরিত্র) যারা কাজ করেন তারা একজন করে সহকারী সঙ্গে নিতে পারবেন। যেটির ব্যয় প্রোডাকশন বহন করবে। অতিরিক্ত কেউ থাকলে তাদের ব্যয়ভার প্রোডাকশন বহন করবে না।

চলচ্চিত্র নির্মাণে এই নীতিমালা আগামী ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলে জানান প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম। তিনি আরো বলেন, চলচ্চিত্র নির্মাণের এই নতুন নীতিমালা যদি সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় তাহলে প্রতিটি চলচ্চিত্র থেকে কমপক্ষে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় কমে যাবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!