• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চলছে আলু রোপণের উৎসব


সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৬, ২০১৯, ১০:২৭ পিএম
চলছে আলু রোপণের উৎসব

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান বিক্রমপুরের আলুর সুনাম দেশজুড়ে।গত কয়েক বছর যাবত লোকসানের কারনে এখানকার কৃষকদের এখন আর আলু চাষে আগের মতো আগ্রহ নাই বলেই চলে। তবু ঐতিহ্য রক্ষ্যায় এবং লোকসান কাটিয়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসতে আলু রোপণে কিছুটা ব্যস্ত এখানকার কৃষকরা।

কার্তিক মাসের শেষের দিকে এই অঞ্চলে আলু চাষের মূল সময় বলে জানান কৃষকরা।তারই প্রেক্ষাপটে উপজেলার মাঠঘাটজুড়ে যেদিকে চোখ যায় কেবল জমি প্রস্তুত করে আলু রোপণের চিত্র দেখা যায়।

আলু উতপাদনের বৃহত্তর জেলা ও প্রধান অর্থকরী ফসল হিসেবে দেশব্যাপী মুন্সীগঞ্জের নাম অতি পরিচিত।ইতোমধ্যে উত্তরবঙ্গ ও দণিবঙ্গের নারী পুরুষ শ্রমিকরা জেলায় এসে আলু রোপণে ব্যস্ত হয়ে পরেছে ।

ভোর সকালেই দেখা যাচ্ছে দলবদ্ধ হয়ে জমিতে আসছে আলু চাষীরা।

সিরাজদিখান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানাযায় এবার উপজেলায় আলু আবাদের লমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ২ শ' হেক্টর জমিতে।সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায় চাষীদের আলু রোপণের ব্যস্ততা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চুক্তি কিংবা মজুরি নিয়ে নিয়োজিত নারীপুরুষ শ্রমিকরা এখানে আলু রোপণ ও উত্তোলনকালীন সময়ে আসে।

উপজেলার জমিগুলোতে আলু রোপণের কাজ চলছে হরদমে শ্রমিকরা জমি পরিচর্যা করছে কেউ কেউবা আবার বাজার কোল্ড স্টোরেজ থেকে গাড়িতে করে বীজ আলু জমিতে আনছে সেখান থেকে চাষীরা বস্তা মাথায় নিয়ে জমিতে আলু জমা রাখছে একদিকে চলছে লাঙ্গল দিয়ে সারি করার কাজ অন্যদিকে সোনালী হাতে লাগানো হচ্ছে বীজ।

বালুচর ইউনিয়নের কৃষক নূর ইসলাম বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমি ১২০ বিঘা জমিতে আলু চাষের প্রস্তুতি নিয়েছি অন্যের কাছ থেকে বর্গা নেওয়া প্রতি বিঘা জমিতে আলু চাষে খরচ হয় ৩৫ হাজার টাকা কামলার পারিশ্রমিক প্রতি বিঘাতে গুনতে হয় আনুমানিক ৪ হাজার টাকা তবে আমাদের এখানে পুরুষ ও মহিলা শ্রমিকের মধ্যে পারিশ্রমিকের তেমন ব্যবধান নেই।

কৃষক আব্দুল মান্নান,সাইফুল্লাহ,নূর মিয়া,আকবর আলী আলমাছ সহ অন্যান্য আলু চাষিরা জানান,আগে আমরা বিঘা বিঘা জমিতে আলু লাগাতাম,গতকয়েক বছরে আলুতে লোকসানের পর এখন আর আগের মতো বেশী আলু আবাদের ঝুঁকি নেই না। শুধু আমরাই না এখন এই উপজেলায় আগের তুলনায় কেউ ই আলু চাষ করবেনা।

উপজেলা কৃষি অফিসার সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন সিরাজদিখান উপজেলায় গত বছর আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৯ হাজার ২ শ' হেক্টর জমিতে এবার সেটা একই পরিমাণ হবে তবে আগের তুলনায় বছরের পর বছর এই অঞ্চলে আলু আবাদে আগ্রহ হারচ্ছে কৃষকরা।গতবছর আলুতে ব্যাপক হারে লোকসান গুনতে হয়েছে এবং এখানকার কৃষকরা এখন জমিতে প্রচুর পরিমাণ সর্ষা আবাদ করে ভালো ফলাফল পাচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!