• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চলনবিলে হাঁস পালনে সাবলম্বী শতাধিক পরিবার


মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, নাটোর অক্টোবর ২৮, ২০১৮, ০৬:৪৮ পিএম
চলনবিলে হাঁস পালনে সাবলম্বী শতাধিক পরিবার

ছবি: সোনালীনিউজ

নাটোর : চলনবিলে হাঁস পালনে সাবলম্বী হয়েছে শতাধিক পরিবার। এসব পরিবার বছরের পুরোটা সময় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। মূলত হাঁস পালনে ডিম বিক্রি করেই সংসারের অভাব অনটন মেটায় ওই পরিবারগুলো। তাছাড়া ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও যোগান দেয়া হয়। চলনবিলের সিংড়া উপজেলার শতাধিক পরিবারের উপার্জন হাস পালনে।

সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার নিজ উদ্যোগে হাঁস পালন করে আসছেন। এর মধ্যে ডাহিয়া, আয়েশ, বিয়াশ, কালিনগর, সাতপুকুরিয়া, হিজলী, কান্তনগর গ্রামের অনেক পরিবার ভ্রাম্যমাণ হাঁস পালন করে সংসার চালাচ্ছেন।

সরকারি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই এসব পরিবার সাবলম্বী হয়ে উঠছে। তবে সরকারি সহযোগিতা পেলে আরো অনেকেই  হাঁস পালনে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে জানান তারা।

কথা হয় বলিয়াবাড়ি গ্রামের আ. মালেকের সঙ্গে তিনি বলেন, সমিতি থেকে লোন নিয়ে হাঁস পালন করছি। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো লোন পাইনি। একটি বাড়ি একটি খামারের উপকার ভোগীরা সরকারিভাবে সহয়োগিতা পেলেও তারা টাকা কাজে লাগান না বলে অভিযোগ করেন।

আ. মালেক আরও জানান, সে হাঁস পালনে সংসার চালান। তার গত বছর কলেরা রোগে ১০০টির মতো হাঁস মরে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন। তবে বর্তমানে ২০৮টি  হাঁস রয়েছে। ডিম বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নিয়েছেন।

নাছিয়ারকান্দি গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, ৬ বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। বর্তমানে ৪০০টি রয়েছে। হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছি।

কালিনগর গ্রামের আলেফ বলেন, প্রায় ১৫ বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। এটি লাভজনক। ৭০০টি হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন ৩০০/৪০০টি ডিম বিক্রি করা হয়। ডিম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়।

আলেফ আরো জানান, সারা বছর হাঁস পালন করেন। হাঁসের খাবার মেটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে খামার স্থাপন করেন। প্রাকৃতিকভাবে খাবার মেটানো খরচ কম হয়। শুধু পরিশ্রম বেশি হয়, তবে লাভ বেশি হচ্ছে।

কথা হয় কয়েকজন ডিমের আড়ৎদারের সঙ্গে তারা জানান, প্রতিদিন তারা কয়েক হাজার ডিম কিনে নেন এবং তা বিভিন্ন স্থানে  সরবরাহ করেন। ডিম বিক্রি করে সংসারের প্রয়োজন মেটান অনেকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!